অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি। প্রিয়জনের বিপদগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা। সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
মিতিন এবং তার সহকারী বোনঝি টুপুর (রিয়া বণিক) আঁকা বাঁকা পথ দিয়ে হেঁটে অপরাধী পর্যন্ত পৌঁছনোর চেষ্টা চালিয়ে যায়। মাঝেমধ্যে তার স্বামী পার্থও (শুভ্রজিত্ দত্ত) তাদের কাজে মগজ লাগায়। গল্প তার নিজের ঢঙে এগতে থাকে। কখনও রহস্যের পোড়া গন্ধ আবার কখনও গল্পের মধ্যে ঝাঁঝালো বাক্যালাপ আসতে থাকে। যেমন, পরিচালক গল্পের মাঝে মিতিন আর পার্থর ব্যক্তিগত জীবনের সমস্যাও ছুঁয়ে গিয়েছেন আবার কিছু সামাজিক বদ্ধমূল ভুল ধারণাকেও কাউন্টার করেছেন। সব মিলিয়ে পরিচালক দর্শকদের সিটে বসিয়ে গল্পের পুরো বাগানটি ঘুরে ঘুরে দেখিয়েছেন। পুজোর ছুটিতে ভিড় ঠেলে প্যান্ডেল ঘোরার চেয়ে সপরিবারে এই ছবির গল্পের বাগান ঘুরে দেখা অনেক ভালো এবং আরামদায়ক। স্কুলে পড়া বাচ্চা থেকে শুরু করে তাদের বাড়ির লোক, সবারই সরু চোখে মিতিনের কিডন্যাপার ধরার গল্প পর্দায় দেখতে মন্দ লাগবে না। একটা সময় সঙ্গীত পরিচালক বিক্রম ঘোষের মিউজিক পরিচালক এবং দর্শকদের মাঝে জোরালোভাবে যোগদান করে। এর ফলে স্লগওভারে ঢাকের বাদ্যির সঙ্গে কাঁসর ঘণ্টার আওয়াজও যোগ হয়ে যায়। পাশে বসে থাকা ক্লাস ফাইভের দুরন্ত ছেলে হয়তো তখন মায়ের হাতটা শক্ত করে ধরে ফেলে।
অভিনয়ের ক্ষেত্রে, কোয়েলকে মিতিন মাসি রূপে মেনে নিতে অসুবিধা হয় না। পার্সি ব্যবসায়ীর চরিত্রে বিনয় পাঠক বেশ ভালো, তার স্ত্রীয়ের চরিত্রে জুন মালিয়াও মন্দ নয়। পার্থর চরিত্রে শুভ্রজিত্ দত্ত যথাযথ। টুপুরের চরিত্রে রিয়া বণিক বেশ সপ্রতিভ। শুভঙ্কর ভরের ক্যামেরাও বেশ ভালো। সবশেষে যে কথাটা বলতেই হয়, বাঙালিকে গোয়েন্দা দিয়ে বশ করার এক অদৃশ্য চাবিকাঠি এবারও অরিন্দম শীলের পকেটেই বহাল তবিয়তে গচ্ছিত থাকল।