শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহবৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে মানসিক ... বিশদ
আপনি তারকা পরিবারের সন্তান। সমালোচনা নেওয়ার জন্য কতটা প্রস্তুত হয়েছেন?
সমালোচনার জন্য আমি সবসময় প্রস্তুত। সব ছবি তো আর সফল হয় না।
সমালোচনা সম্বন্ধে আপনার মত কী?
প্রত্যেকেরই নিজস্ব মতামত রয়েছে। কেউ হয়তো আমাকে পছন্দ করবেন আবার কেউ করবেন না।
ছবিটা না চললে তুমুল চাপটাকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন?
ছবি চলুক বা না চলুক বাবা বলেছেন আমাকে এগিয়ে যেতেই হবে। মন খারাপ করে কোনও লাভ নেই। এটাই শেষ নয়।
এই ছবিতে আপনাকে কীভাবে পাওয়া যাবে?
সমসাময়িক চরিত্র। চরিত্রটার সঙ্গে বাস্তবে আমার মিল নেই। নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। বাকিটা দর্শকদের উপর ছেড়ে দিয়েছি।
আপনার বাবা এই ছবির পরিচালক। ওঁর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কীরকম?
বাবা খুবই কড়া ও পেশাদার। একচুল ভুল হলেই বাবা ঠিক ধরে ফেলতেন। মাঝে মাঝে একটু বিরক্ত হতাম বৈকি। তবে জানতাম যে এটা বাবা আমার ভালোর জন্যই করতেন। বাবা কখনই আমার প্রশংসা করেননি।
ঠাকুরদা ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে আপনার সম্পর্ক কীরকম?
খুবই ভালো। আমরা একই বাড়িতে বড় হয়েছি। আমি ভিডিও গেমস খেলতাম আর দাদু আমাকে নানা গল্প শোনাতেন। তার মধ্যে ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর স্ট্রাগলের গল্পও থাকত।
দাদুর বায়োপিকে অভিনয় করতে চাইবেন?
দাদুর জীবন নানা ঘটনায় পরিপূর্ণ। আমার সঙ্গে ওঁর আত্মিক যোগ রয়েছে বলেই এই চরিত্রটা ফুটিয়ে তোলা আমার পক্ষে কঠিন।
শুনেছি এই ছবির জন্য আপনার বাবা নাকি চার বছর ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছেন?
বাবা ‘ঘায়েল ওয়ান্স এগেইন’ এর শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন। তখনও এই ছবির চিত্রনাট্য তৈরি হয়নি। আরও দেড় বছর পর চিত্রনাট্য তৈরি হল এবং রেইকির কাজ শুরু হয়েছিল।
এই ছবির জন্য দাদু কী উপদেশ দিয়েছিলেন?
তিনি বলেছিলেন অভিনয় মানে অভিব্যক্তি অথচ সামনের মানুষ যেন বুঝতে না পারেন যে তুমি অভিনয় করছ, এতটাই সাবলীল হতে হবে।
বাবার সামনে চুম্বন দৃশ্যে অভিনয় করা কতটা কঠিন ছিল?
শুরুতে একটু অসুবিধা হয়েছিল। কিন্তু পরে যখন বাবাকে পরিচালক হিসেবে দেখতে শুরু করলাম তখন আর কোনও সমস্যা হয়নি। বাবা এসে বলেছিলেন যে এর মধ্যে আর আমাকে বোঝানোর কিছু নেই। তাই নিজের মতো করে অভিনয় করতে বলেছিলেন।
বাবা হিসেবে সানি দেওল কীরকম?
বাবা আমাকে খুব ভালোবাসেন কিন্তু ততটাই কড়া স্বভাবের। স্কুলে পরীক্ষায় নম্বর কম পেলে বাবা আমাকে বকতেন। ছ বছর বয়সে একবার বাড়ির ভিসিআর-এর মধ্যে একটা চামচ ঢুকিয়ে দিয়েছিলাম। বাবা আমাকে ডেকে বলেছিলেন যে বাচ্চা হলেও আমার জিনিসপত্রের যত্ন নেওয়া উচিত। চারপাশের মানুষ বা আসবাপত্রের গুরুত্ব বোঝা উচিত। পরে বুঝতে পেরেছিলাম, বাবা চিরকাল আমার পাশে থাকবেন না। আর আমি বড় ছেলে বলে একদিন মা ও ভাইয়ের দায়িত্ব আমাকেই নিতে হবে।
আপনার মা কেন প্রকাশ্যে আসেন না?
মা খুব সাধারণ জীবনযাপন করেন। লোকে বলে আমার হাসিটা নাকি মায়ের মতো।
ভাইয়ের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক কীরকম?
রাজবীর আমার থেকে ৩ বছরের ছোট। আমরা খুব ভালো বন্ধু। যে কোনও সমস্যায় একে অপরকে সাহায্য করতে প্রস্তুত। এই ছবিতে বাবার সহকারী হিসেবে ও কাজ করেছে। খুব তাড়াতাড়ি ও অভিনয়ে আসবে।
আপনার মতোই যাঁরা বলিউডে আসতে চান তাঁদেরকে কী বলবেন?
বাবা-মাকে শ্রদ্ধা করতে হবে। তাঁরা জীবনের শেষদিন পর্যন্ত সন্তানদের জন্য চিন্তা করেন। তাই কাজের মাধ্যমেই মা-বাবাকে তাঁদের প্রাপ্য সম্মান ফিরিয়ে দেওয়া উচিত।
শুনেছি আপনি নাকি কবিতা লেখেন?
প্রচুর। সেইজন্য আমি কিছুটা দার্শনিক। কম কথা বলি। মানুষকে পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। মনে কষ্ট হলে কবিতার মাধ্যমে সেটা মন থেকে বের করার চেষ্টা করি।
ভবিষ্যতে কি কবিতার বই প্রকাশ করার ইচ্ছা রয়েছে?
এখনই জানি না। কেউ বললে ভেবে দেখতে পারি। কবিতা আমাকে অভিনয় করতেও সাহায্য করেছে।
জীবনসঙ্গী হিসেবে আপনার কীরকমের মেয়ে পছন্দ?
আমার মেকআপ ছাড়া সাধারণ মেয়ে পছন্দ। যার সঙ্গে আমার মনের সম্পর্কটা ভালো হবে। আমি সিঙ্গল নই। আমার প্রেমিকা রয়েছে।
মুম্বই থেকে শামা ভগত