গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
সুধী দর্শকবৃন্দ, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই রণদীপ আর অনুরাধার শুভপরিণয় সুসম্পন্ন হবে। এই মহাবিবাহের সমস্ত রীতি অনুষ্ঠান অর্থাৎ আইবুড়ো ভাত, আশীর্বাদ, দধিমঙ্গল, গায়ে হলুদ, বিয়ে, বাসর, বিদায়ী, বউভাত ইত্যাদির সাক্ষী রাখবে কালারস বাংলার ‘চিরদিনই আমি যে তোমার’। তার আগে দর্শকের অবগতির জন্য জানিয়ে রাখা প্রয়োজন, ইতিমধ্যেই মেহেন্দিপর্ব শুরু হয়ে গিয়েছে। সামনেই রয়েছে সঙ্গীত— যেখানে রণর পরিবারের সদস্যরা নাচেগানে হাসিঠাট্টায় মাতবে। যদিও এগুলি বাঙালি বিয়ের অনুষ্ঠানের অঙ্গ নয়। কিন্তু বিবাহপর্বকে এবং একই সঙ্গে আনন্দকে আরও একটু দীর্ঘায়িত করতে মেহেন্দি, সঙ্গীত এখন বাঙালি বিয়েতে ভীষণভাবে চলে এসেছে। সঙ্গীত মিটলেই শুরু হবে আশীর্বাদ, আইবুড়ো ভাত এবং এরপরই সেই মহাবিবাহের দিন। যার সূচনা হবে রণ-অনুর দধিমঙ্গল দিয়ে। রণর গায়ে হলুদ, তারপর সেই হলুদ উঠবে অনুর গায়ে, তারপরই ‘যদিদং হৃদয়ং তব/তদিদং হৃদয়ং মম’। মালাবদল, সাতপাক শেষে সিঁদুরদান।
এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলবে এই গ্র্যান্ড সেলিব্রেশন। তারই প্রস্তুতি দেখতে আমরা গিয়েছিলাম এনটি ওয়ান স্টুডিওয় বিয়েবাড়ির সেটে। সেখানে তখন রণর বাড়ির সঙ্গীতের অনুষ্ঠান চলছে। সবাই আনন্দ মেতেছে। কিন্তু রণর মন উদাস। আসলে এই বিয়েটা তো একটা চুক্তি। অনুকে তার প্রেমিক আবিরের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে রণ। আর অনুও সেই কথাতেই বিয়েতে রাজি হয়েছে। বিয়েটা নিয়ে যতই জটিলতা থাকুক না কেন আপাতত বিয়ের শ্যুটিংয়ে মেতেছেন ইউনিটের সকলেই। বিশেষত শৌভিক (রণদীপ) বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শার্লি (অনুরাধা) মোদক। দু’জনেরই এই ধারাবাহিকে প্রথম অভিনয়। দু’জনেই অবিবাহিত। তাই জীবনে প্রথম বিয়ের দৃশ্যে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা যে তাঁরা দারুণ উপভোগ করবেন সেটাই স্বাভাবিক। ‘অনুরাধা বিয়েটা নিয়ে খুব টেনশনে রয়েছে। কিন্তু আমি ভীষণ খুশি। এই বিয়েটা যদি অনুর না হয়ে সত্যি সত্যি আমার হতো তাহলে ব্যপারটা বেশ হতো। আসলে খুব মজা হচ্ছে’, এইভাবেই নিজের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেন শার্লি। অন্যদিকে রণর এই বিয়েটা করতে যতই কষ্ট হোক না কেন শৌভিক হাসতে হাসতে বললেন,‘আমার বিষয়টা ভালোই লাগছে। বরের সাজে নিজেকে প্রথমবার দেখে ভালোই লেগেছে। মনে হচ্ছে নিজের বিয়ে। অভিজ্ঞতাটা হয়ে যাচ্ছে। রিয়েল লাইফ বিয়ের সময়ে সমস্যা হবে না।’ রণ-অনুর বিবাহিত জীবন কেমন হবে আপাতত তা না ভাবাই শ্রেয়। শুধুমাত্র বিয়ের আনন্দটুকু উপভোগ করতে প্রস্তুতিপর্ব থেকেই আপনাদের নিমন্ত্রণ রইল।
ছবি: দীপেশ মুখোপাধ্যায়