পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
বিয়ের পর এই প্রথম দেখলাম, আরও সুন্দর হয়ে গিয়েছো তো...
সত্যি বলছো দিদি? আসলে বিয়ের কয়েক মাস আগে থেকেই ঝড় বয়ে গিয়েছে আমার জীবনে। হঠাৎ করেই সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেওয়া। মুখ্যমন্ত্রী আমাকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন বসিরহাট কেন্দ্রের। প্রার্থী পদ ঘোষিত হওয়ার পর থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল আমার ছোটাছুটি। প্রত্যেক দিনই প্রায় প্রচারে বেরতে হয়েছে। ওখানকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁদের অভিযোগ অসুবিধের কথা শুনেছি। জিতলে ওঁদের জন্য কিছু করার অঙ্গীকার করেছি। একেবারে অন্যরকম জীবন!
ভোটের ফল প্রকাশের পরই তো তোমার বিয়ের ডেট ছিল?
হ্যাঁ। সেও তো আবার ডেস্টিনেশন ওয়েডিং। বিয়ের পর ফিরেই দিল্লিতে শপথ গ্রহণ। তারপর এখানে রিসেপশন। সবমিলিয়ে খুব হেকটিক গিয়েছে। এখন আবার খানিকটা ছন্দে ফিরেছি।
এখন আর বসিরহাট যেতে হচ্ছে না?
তাই কী হয়? যেতে তো হবেই বসিরহাটের মানুষদের কাছে। আমি যে দায়বদ্ধ। তাঁদের সুবিধে-অসুবিধে তো আমাকে দেখতেই হবে। দূর থেকে হয় না। কাছে যেতেই হয়। আবার শ্যুটিংও শুরু হয়েছে।
কোন ছবি?
পরিচালক পাভেলের ‘অসুর’। জিৎ আর আবির আছে ছবিতে। টিমের সবাই আমার সঙ্গে কো-অপারেট করছে। এমনও হচ্ছে, শ্যুটের ডেট দিয়ে রেখেছি, অথচ বসিরহাটে কোনও সমস্যার খবর পেয়ে আমাকে সেখানে ছুটতে হয়েছে। ফলে অনেক দেরিতে এসে আমি শ্যুটিংয়ে যোগ দিয়েছি।
আর ঘর-সংসার কেমন চলছে?
(লাজুক হেসে) ভালোই। তবে আমার বর নিজেই নিজেরটা করে নিতে পারে। তাই সমস্যা নেই।
ক’দিন রান্না করলে?
দু’দিন করেছি। একদিন ডাল মাখানি করেছিলাম। সকলের খুব ভালো লেগেছিল। আর একদিন বরকে সারপ্রাইজ ডিনার খাইয়েছি। থাই প্রিপারেশন করেছিলাম। আমি নিজে থাই খাবার খেতে খুব ভালোবাসি। আমার বরের খুব ভালো লেগেছিল আমার হাতের রান্না। তবে ও ইতালিয়ান খাবার খেতে খুব ভালোবাসে।
পুজোর প্ল্যান কী?
পুজোর জন্য আগে থেকে কোনও প্ল্যানিং করি না। করে দেখেছি শেষে ভেস্তে যায়। এবারও করিনি। এ বছর বিয়ের পর প্রথম পুজো। তাই পরিবারের সকলের সঙ্গে থাকার চেষ্টা করব। আর হ্যাঁ অবশ্যই আমার বসিরহাটের মানুষের কাছে চলে যাব সময় পেলেই।
পুজোর কেনাকাটা কমপ্লিট?
না গো, কিচ্ছু হয়নি। সময়ই পাচ্ছি না। তবে লিস্ট করে রেখেছি। একদিন দু’জনে বেরিয়ে পুজো শপিং করে ফেলব।
পুজোর ক’দিন কেমন সাজবে?
এমনিতেই আমি শাড়ি পরতে খুব ভালোবাসি। শাড়ি সামলাতেও কোনও কষ্ট হয় না। তাই শাড়িই পরব। বিয়েতে অনেক সুন্দর সুন্দর শাড়ি উপহার পেয়েছি। সেগুলো পরব। আর বর তো নিশ্চয়ই এক্সক্লুসিভ কিছু একটা দেবে (দুষ্টু হাসি হেসে)।
কোন কোন পুজো উদ্বোধন করবে এবার?
অনেক অনেক অনুরোধ আসছে। দমদম টু বেহালা, কোলাঘাট টু বারাসত। কাউকে এখনও কথা দিতে পারিনি। তবে বসিরহাট তো যেতেই হবে আমাকে। শুধু উদ্বোধনেই নয় ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমী... যখনই ফাঁক পাবো টুক করে পৌঁছে যাব। ওই যে বললাম, ওঁদের কাছে আমি অঙ্গীকারবদ্ধ। ওঁরা আমার ওপর ভরসা রেখেছেন বলেই আমি দিল্লির দরবারে পৌঁছতে পেরেছি। আমি কৃতজ্ঞ।
বিয়ের পর আরও সুন্দর হওয়ার রহস্যটা কী বললে না তো?
(হাত জোড় করে) তোমাদের আর্শীবাদ, শুভ কামনা আর গুরুজনদের আর্শীবাদ আমার মাথার ওপর রয়েছে। আমি এখন অনেক সিস্টেমেটিক হয়েছি। নতুন সংসার। নতুন রাজনৈতিক জীবন আর আমার প্রফেশন সবটা ব্যালেন্স করে চলতে শিখছি। মাঝে মাঝে সময়ের গণ্ডগোল করে ফেলি বটে, তবে আর কিছুদিন গেলে সেটাও নিশ্চয়ই ম্যানেজ করতে পারব। বড়দের কাছে শুনেছি, নিয়ম মেনে জীবন যাপন করলে সুন্দর থাকা যায়। সেই পথেই হাঁটছি।