ভটভটি তার নাম হারিয়েছে কালের অন্তরালে।সে এখন জাহাজবস্তির বাসিন্দা। ভটভটি ভাবে এই বস্তির সবাই জাহাজে করে এসেছে। তাই এমন নাম। ভটভটি পেশায় শ্মশানের ডোমের হেল্পার। আর পাঁচটা ছেলের সঙ্গে ভটভটির পার্থক্য একটাই। সে স্বপ্ন দেখতে পারে। স্বপ্নের চশমায় সে বাস্তবকে দেখার চেষ্টা করে। তার স্বপ্নের উপকরণ খালি চোখে খুবই তুচ্ছ। সে ভাবে তাদের বস্তির ধারের গঙ্গার জলের তলায় মস্ত এক প্রাসাদ রয়েছে। সেখানে জলপরীদের দেখার স্বপ্নে বিভোর ভটভটি। বাস্তব আর স্বপ্নের মাঝখানে যে পাতলা হলেও একটা পর্দা রয়েছে, সে কথা মানতে নারাজ ভটভটি। কার্টুনে দেখা জলপরী রাজকন্যার মতো ‘এরিয়েল’-র চেয়েও সুন্দরী একজন ভটভটির জন্য উঠে আসে। শুরু হয় এক মায়া রূপকথা। বস্তির মানুষের অবিশ্বাস এবং উচ্ছেদের রক্তচক্ষুর মধ্যে ভটভটি এবং এরিয়েলের অপার সৌন্দর্যে ভরা প্রেম কাহিনী এগতে থাকে।
এই হল তথাগত চট্টোপাধ্যায়ের নতুন ছবি ‘ভটভটি’র প্লট। তথাগত বলছিলেন, ‘এখানে রূপকথা এবং বাস্তব দু’টোই হাত ধরাধরি করে এগবে। এটি আপাদমস্তক একটি প্রেমের ছবি। চিরন্তন প্রেমের ছবি বলতে পারেন।’ ছবির নায়ক-নায়িকাকে আর কিছুদিনের মধ্যেই লঞ্চ করা হবে। এছাড়াও ছবিতে অভিনয় করছেন দীপঙ্কর দে, মমতা শঙ্কর, লামা, দেবলীনা দত্ত, রজতাভ দত্ত। তথাগত নিজেও একটি চরিত্রে রয়েছেন। কিছুদিনের মধ্যেই ছবি মুক্তির দিন ঘোষণা করা হবে। মোটামুটি ৪০ দিনের শ্যুটিং শিডিউল ঠিক করা হয়েছে। কলকাতা, পুরুলিয়া, বোলপুর, ঝাড়খণ্ড ছাড়াও বাংলার বিভিন্ন অঞ্চলে শ্যুটিং হবে।
নিজস্ব প্রতিনিধি