পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এই ছবির নায়ক দু’জন – রিক ডালটন (লিওনার্দো ডি কাপ্রিও) এবং ক্লিফ বুথ (ব্র্যাড পিট)। রিক টেলিভিশনের নায়ক। তার স্টান্টগুলো করে ক্লিফ। অর্থাৎ সোজা কথায় রিকের বডি ডাবল ও স্টান্ট ম্যান হল ক্লিফ। লোকে বলে, ক্লিফ তার বউকে খুন করেছিল। রিক তাতে বিশেষ পাত্তা দেয় না। বরং ক্লিফকে সে বেশ পছন্দই করে। সেই সময়টা ছিল ১৯৬৯। হলিউডের স্বর্ণযুগ অস্ত যেতে শুরু করে সেই সময় থেকেই। রিফের বাজার পড়তে থাকে। ক্লিফ তা নিয়ে মাথা ঘামায় না। সে নিজের মতো থাকে। কাজ না থাকলে রিফের গাড়ি চালায়। বাড়ির আন্টেনা মেরামত করে। সন্ধেবেলায় রিফ ফিরলে, দু’জনে নেশা করে বেসামাল হয়ে যায়। এর মধ্যেই ক্লিফের সঙ্গে দেখা হয়ে যায় এক সুন্দরী হিপি কন্যার। তার সঙ্গে সে গিয়ে হাজির হয়, তাদের ডেরায়। সেখানে গিয়ে সে জানতে পারে, সেই হিপি কলোনি আসলে তার এক পুরনো বন্ধু জর্জের জমিতে গড়ে উঠেছে। জর্জের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে, প্রবল বাধা আসে হিপিদের কাছ থেকে। এদিকে ক্লিফও মরিয়া। জোর করে সে দেখা করে জর্জের সঙ্গে। অন্ধ, অক্ষম, বৃদ্ধ জর্জ অসহায় হয়ে আত্মসমর্পণ করেছে হিপিদের কাছে। ফিরে আসে ক্লিফ। আসার আগে, গাড়ির টায়ার পাংচার করার জন্য বেদম পেটায় এক হিপিকে। এরপর বাইরে চলে যায় ক্লিফ ও রিফ। ইউরোপে কাজ করে ফিরে আসার সময় রিফ সঙ্গে নিয়ে আসে নতুন বউ এবং ক্লিফকে জানিয়ে দেয়, সে যেন অন্যত্র কাজ খুঁজে নেয় এবার। রিফের পক্ষে আর তাকে রাখা সম্ভব হবে না। এই রাতটাই তাদের একসঙ্গে শেষ রাত। ছবির ক্লাইম্যাক্স এই রাতেই ঘটে। রিকের প্ল্যান বিফলে যায়। জীবন বদলে যায় ক্লিফেরও।
ব্র্যাড পিট এবং লিওনার্দো – একে অপরের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কাজ করেছেন। প্রতিটি দৃশ্যতেই তাঁরা চমকে দেন। মিতভাষী ক্লিফের ভূমিকায় ব্র্যাড পিট দুরন্ত। আবার কথায় কথায় কেঁদে ফেলা, নেশাখোর রিফ হিসেবে লিওনার্দোর তুলনা নেই। এই ছবির কমিক রিলিফও তিনিই। খুব সামান্য সময়ের জন্যে আল পাচিনো পর্দায় ছিলেন। ভালো লেগেছে তাঁকে। পরিচালক ট্যারেন্তিনো ছবির একেবারে শেষে ভয়ানক রক্তারক্তি দেখিয়ে নিজের সিগনেচার বজায় রেখেছেন। কিন্তু ছবিটি অত্যন্ত উপভোগ্য এবং যত্ন নিয়ে নির্মিত – এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ থাকতেই পারে না।
অদিতি বসুরায়