বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ছবি নিয়ে সেদিন তো আপনি একটা সুন্দর কবিতা ট্যুইট করলেন।
আসলে বলতে চেয়েছিলাম যে বিজ্ঞানের কোনও ধর্ম নেই। বেশ কয়েকটা আঞ্চলিক ভাষায় আমি ওই কবিতা আবৃত্তি করেছি।
শুনেছি এখন আপনি নাকি ছবি সাইন করছেন না?
কারণ, ছবি নির্বাচন করার আগে আমাকে ভাবতে হয়। অনেকসময় ভালো ছবিকেও না বলতে হয়। অনেক সময় ভাগ্য সহায় থাকে। যেমন ‘টয়লেট: এক প্রেম কথা’ ছবির পরিচালক চার বছর ধরে কাউকে রাজি করাতে পারেননি। কিন্তু আমি রাজি হয়েছিলাম। তারপর ‘প্যাডম্যান’, ‘এয়ারলিফট’ ও ‘রুস্তম’ করলাম।
‘মিশন মঙ্গল’ কতটা কঠিন ছিল?
এরকম ছবিও তো আগে তৈরি হয়নি। মহাকাশ অভিযানের উপর একটা ছবি। সেখানে বাস্তবতা, নাটকীয়তা, কমেডি সবই রয়েছে। তবে আসল চ্যালেঞ্জটা সামলেছে ভিএফএক্স টিম। ছবিটা বাচ্চাদের অনুপ্রেরণা দেবে। আমাদের পরিচালকের (জগন শক্তি) বোন ইসরোর বিজ্ঞানী। তাই গল্পটাকে বাস্তবের কাছাকাছি রাখা সম্ভব হয়েছে।
আপনাকে নাকি শ্বেত বিপ্লবের জনক ভার্গিস কুরিয়েনের বায়োপিক অফার করা হয়েছে?
না। তবে শুনেছি ওরা আমাকে নিয়ে ভাবছেন।
‘মিশন মঙ্গল’ তো মহিলাকেন্দ্রিক ছবি। দর্শকের পছন্দ হবে?
সে তো দীর্ঘদিন ধরেই অভিভাবকরা মেয়েদের বলে আসছেন ইঞ্জিনিয়ারিং ছেলেদের পেশা। বলতেন মেডিসিন বা নার্সিং মেয়েদের জন্য ভালো। পাঠ্যবইতেও পুরুষের বীরগাথা, সেখানে মহিলারা ব্রাত্য। দেখুন, সময় বদলাচ্ছে। এখন মহিলারা ভিতর-বাইরে একইসঙ্গে সামলাতে সক্ষম। এই ‘নারীকেন্দ্রিক’ শব্দটাই আমার পছন্দ নয়। পুরুষদের ক্ষেত্রে কি আমরা পুরুষকেন্দ্রিক বলি!
তার মানে মহিলাদের পর্দায় আপনার তুলনায় বড় চরিত্র থাকলে আপনার কোনও আপত্তি নেই?
ইন্ডাস্ট্রির অনেক বড় বড় লোক আমাকে ‘টয়লেট...’ বা ‘প্যাডম্যান’ এর মতো ছবি করতে বারণ করেছিল। এতে নাকি আমার ভাবমূর্তি নষ্ট হবে! দেখুন, আমি ভালো ছবির অংশ হতে চাই। তাতে আমার চরিত্রটা ছোট হলেও কোনও সমস্যা নেই।
বিজ্ঞান নিয়েই যখন কথা হচ্ছে তাহলে জানতে ইচ্ছা করছে যে আপনার প্রিয় বিষয় কী?
আমার প্রিয় বিষয় অঙ্ক। মাথার মধ্যে এক্সপেরিমেন্ট ঘুরত। একটা মজার ঘটনা বলি। ছেলেবেলায় বাবা আমাকে ১৭৫ টাকা দিয়ে একটা রেডিও কিনে দিয়েছিলেন। আমি একদিন তার ভেতর থেকে চুম্বক বের করলাম। দেখলাম সেটা লোহায় আটকে যায়। বাবা জানতে চাইলেন যে আমি চুম্বক কোথায় পেয়েছি? আমি সোজা বলেছিলাম যে এই বস্তুটাকে আমি রেডিও থেকে আবিষ্কার করেছি!
প্রযোজক হিসেবে এখন কি আপনি শুধুই দর্শকদের জন্য বার্তামূলক ছবিগুলোকেই বেছে নেবেন?
মানুষকে সাহায্য করবে সেই ছবিই করতে চাই। এখন প্রযোজক হয়েছি। তাই দায়িত্বও বেড়েছে। ‘টয়লেট এক প্রেম কথা’ ও ‘প্যাডম্যান’ তো গ্রামে গ্রামে বিনামূল্যে দেখানো হয়েছিল।
এই ছবিটা কি অন্যান্য ভাষায় ডাব করা হবে?
ইচ্ছে তো রয়েইছে। ‘টয়লেট...’ এর ক্ষেত্রেও সেটা করা হয়েছিল।
ফোর্বস এর তালিকায় সবথেকে ধনী ভারতীয় অভিনেতা হিসেবে আপনার নাম রয়েছে। আপনাকে এবার বড় বাজেটের ছবিতে কবে দেখা যাবে?
তালিকায় নাম থাকার জন্য ধন্যবাদ। কিন্তু দেখুন টাকা বেশি থাকার মানে এটা নয় যে আমি বড় বাজটের ছবি করব। টাকা বেশি থাকার অর্থ আরও যুক্তিযুক্ত সিনেমার অংশ হওয়া। একটা ছবির জন্য আমি সব টাকা খরচ করতে পারব না।
এখন প্রত্যেকেই দক্ষিণী ছবির রিমেক করতে চাইছেন কেন?
ছবিগুলো সুপারহিট, বক্সঅফিসে ভালো ব্যবসা করেছে। তাই এই ধরনের ছবিতে বিনিয়োগ করাটা অনেক নিরাপদ।
আপনি বেশ অনেকটা ওজন কমিয়েছেন।
‘সূর্যবংশী’ ও ‘বচ্চন পাণ্ডে’র জন্য অনেকটা ওজন কমাতে হয়েছে। আমি ডায়েট করি না। প্রতিদিন পরোটা খাই। বরং আমি ওয়ার্কআউটের মাধ্যমে ওজন কমানোয় বিশ্বাসী।