আবেগের বশে কোনও কাজ না করাই ভালো। দাম্পত্য জীবনে বনিবনার অভাবে সংসারে অশান্তি বাড়বে। কর্মে ... বিশদ
তারপর কেটে গিয়েছে বেশ কয়েক মাস। আইপিএল শেষ, বিশ্বকাপও শেষ পর্যায়ে। কিন্তু, দাদু আর গুবলুর চাহিদা তুঙ্গে। আমির খানের সঙ্গে চুক্তি শেষ হওয়ায় বিজ্ঞাপনে এখন অবশ্য দাদুকে দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু প্রতিটি বিজ্ঞাপন একাই জমিয়ে দিচ্ছে গুবলু ওরফে আরিয়ান রান্ধাওয়া। ওই বিজ্ঞাপনই তাকে এনে দিয়েছে দেশজোড়া খ্যাতি। ‘ছেলেকে নিয়ে রাস্তায় বেরলে সবাই চিনতে পারে। মেটাতে হয় সেলফির আবদার’, কথাগুলি বলছিলেন আরিয়ানের গর্বিত মা নিশা রান্ধাওয়া। আসলে ফোন করা হয়েছিল গুবলুর সঙ্গে কথা বলার জন্যই। কিন্তু, ‘স্টার’কে কী আর সহজে পাওয়া যায়! গুবলুবাবু তখন মায়ের স্মার্টফোনে গেম খেলতে ব্যস্ত। সটান জানাল, মিনিট দশেক লাগবে। অগত্যা ‘মধুসূদন’ মায়ের থেকেই ছেলের টুকটাক খোঁজ খবর নেওয়া শুরু হল। তিনি জানালেন, আরিয়ানের বয়স এখন আট বছর, পড়ে চতুর্থ শ্রেণীতে। চণ্ডীগড়ের বাসিন্দা নিশার আক্ষেপ, ‘আমার অভিনয়ের শখ ছিল। কিন্তু, মা করতে দেননি।’ তাই তিনি তাঁর সন্তানকে আটকাননি।
মাত্র পাঁচ বছর বয়সে একটি পাঞ্জাবি গানের মিউজিক ভিডিওতে আত্মপ্রকাশ ঘটে আরিয়ানের। সেই ভিডিওর দৌলতেই ২০১৫ সালে আসে বড় ব্রেক। দেশের পয়লা নম্বর ই-কমার্স সাইটের বিজ্ঞাপনে দেখা যায় তাকে। তবে বছর আটেকের ওই খুদে খ্যাতি শীর্ষে পৌঁছয় আমির খানের সঙ্গে করা সাম্প্রতিক বিজ্ঞাপনগুলির মাধ্যমেই। ওই বিজ্ঞাপনের পর এখন সাবান, তেল, টিভি সব সংস্থাই আরিয়ানকে চাইছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপনে কাজও করে ফেলেছে সে। এছাড়া একটি হিন্দি ও একটি পাঞ্জাবি ছবিতেও অভিনয় করেছে ওই একরত্তি। অভিনয়ের পাশাপাশি পড়াশোনাতেও মনযোগী সে। নিশার কথায়,‘আমার ছেলের ফার্স্ট হওয়ার নেশা রয়েছে। তাই অভিনয় হোক বা পড়াশোনা ওকে তাগাদা দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।’
ইতিমধ্যে মায়ের হাত থেকে ফোন ছিনিয়ে কথা বলতে শুরু করে দিয়েছে আরিয়ান। সে নিজেই জানাল, বিজ্ঞাপনের মতো বাড়িতেও বাবা-মাকে স্মার্টফোন সম্বন্ধে নিয়মিত শেখাতে হয়। কারণ, তাঁরা কিছুই বোঝেন না। তবে ছোটপর্দার গুবলুর আক্ষেপ, এত করে বোঝালেও ওঁরা গোলমাল করেই ফেলেন। আমির খানের প্রসঙ্গ উঠতে বেশ উত্তেজিত হয়ে পড়ল আরিয়ান। জানাল, সুপারস্টারের সঙ্গে ভালোই বন্ধুত্ব পাতিয়ে ফেলেছে সে। সেলিব্রিটি স্টেটাস কেমন অনুভব করছ? পাঞ্জাবি ঘেঁষা হিন্দি টানে তার জবাব, শ্যুটিং সেরে চণ্ডীগড় ফেরার পথে বিমানে অভিনেতা-কমেডিয়ান আলি আসগরের সঙ্গে দেখা হয়েছিল। সে ছবি তোলার আর্জি জানানোর আগেই নাকি ‘আসগর আঙ্কল’ তার সঙ্গে ছবি তোলার আবদার করে বসেন।
‘সেলেব ফ্যান’-এর সেই আর্জি পূর্ণ করতে পেরে বেশ খুশি সে। ইতিমধ্যে বছর আটেকের ওই শিশু ঠিক করে ফেলেছে বড় হয়ে কী হবে। তাঁর কথায়, ‘আমি ক্রিকেটার আর অভিনেতা দু’টোই হব’। কিন্তু, দু’টো একসঙ্গে কী করে হওয়া যায়? প্রশ্ন শুনে শিশুসুলভ হাসি ছড়িয়ে তার জবাব, কেন যাবে না, আমি তো অলরাউন্ডার।
শুভম বসু