গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
সুপ্রভাত কিন্তু অঞ্জন দত্তের নতুন ছবি ‘সাহেবের কাটলেট’-এও রয়েছেন। উল্লসিত সুপ্রভাত বলছিলেন, ‘কিছু বলার মতো বা বোঝার মতো অবস্থায় ছিলাম না আমি। কেমন যেন একটা অনুভূতি হয়েছিল। আমার মতো একজন নবাগতকে উনি বেছে নিয়েছেন সেটা বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। তারপর ধীরে ধীরে ধাতস্থ হয়েছি।’ সামনে সুপ্রভাতের হাতে দু’টি ছবির কাজ রয়েছে। কাজেই এই মুহূর্তে তিনি এইসব নিয়ে কিছু ভাবছেন না। তবে পুজোর পর থেকে তিনি এই বিষয়ে সম্পূর্ণ মনোযোগ দেবেন। সেরকম হলে শহরের বাইরে গিয়ে নিরিবিলিতে এই নিয়ে একটু চিন্তা করবেন, জানালেন সুপ্রভাত।
ডিসেম্বর কিংবা জানুয়ারি মাস থেকে ছবির শ্যুটিং শুরু হওয়ার কথা। সুপ্রভাতকে নিয়ে অঞ্জনের বক্তব্য, ‘সুপ্রভাত একেবারে তৈরি অভিনেতা। ওকে নিয়ে কোনও ওয়ার্কশপ করানোর প্রয়োজন দেখছি না।’ মহিলা চরিত্রগুলোকে নিয়ে বেশ কিছু নাম ইতিমধ্যেই পরিচালকের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে। তবে এখনই কোন চরিত্রে কে থাকবেন সেই বিষয়ে কিছুই ঠিক হয়নি। তবে শোনা যাচ্ছে, পরিচালকের ভাবনায় এই চরিত্রের জন্য রয়েছেন পার্নো মিত্র, পায়েল সরকার, প্রিয়াঙ্কা সরকার এবং গার্গী রায়চৌধুরী। ছবির নাম কী হবে? অঞ্জন বললেন, ‘প্রথম ছবির নাম হবে ‘শ্রীকান্ত’। তারপরের ছবির নামগুলো আমার ব্যোমকেশের স্টাইলেই ভাবছি। যেমন ধরুন, আবার শ্রীকান্ত কিংবা শ্রীকান্ত ফিরে এলো।’
শ্রীকান্ত এবং রাজলক্ষ্মীর চরিত্রে এর আগে উত্তমকুমার এবং সুচিত্রা সেন অভিনয় করেছেন। কাজেই তুলনা কি এবারও আসবে? যদিও তুলনা আসার অবকাশ এখানে খানিক কম তার কারণ অঞ্জন তো আধুনিক ধাঁচে শ্রীকান্তকে নিয়ে আসছেন বলে দাবি করেছেন।
প্রসঙ্গত পরিচালক প্রদীপ্ত ভট্টাচার্য ২০১৮ সালে ‘রাজলক্ষ্ণী ও শ্রীকান্ত’ ছবির শ্যুটিং শেষ করেছিলেন। এই ছবিতে শ্রীকান্তের ভূমিকায় ছিলেন ঋত্বিক চক্রবর্তী। ছবির টিজার ইতিমধ্যেই প্রকাশিত। তবে ডিস্ট্রিবিউটার না পাওয়ায় ছবি মুক্তি কবে পাবে এখনও কিছুই বলা যাচ্ছে না, জানালেন প্রদীপ্ত।