পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
ভুল ভাঙালেন ধারাবাহিকটির প্রাণপুরুষ সুশান্ত দাস। ‘কৃষ্ণকলি’র ‘রূদ্ধশ্বাস পর্ব’ নিয়ে খোলসা করতেই স্টুডিওতে আমন্ত্রণ ও চমকে ওঠার মতো মিলন মেলা। কৃষ্ণকলি ওরফে শ্যামা যে গান গায়, এতদিন পর্যন্ত সে বৃত্তান্ত কর্তামা অর্থাৎ শ্যামার শাশুড়ি জানতেন না। ঘটনাচক্রে বউমার সেই গোপন গুণের কথা সম্প্রতি জেনেছেন তিনি। বিশ্বাসে আঘাত লেগেছে তাঁর। যে বউমাকে শত শয়তানির হাত থেকে বাঁচিয়ে, স্নেহ, মমতা, ভালোবাসা দিয়ে আগলে রেখেছেন, সেই শ্যামাই যে ছদ্মনামে গান গেয়ে চলেছে— এই কথাটা জেনে বেজায় চটে গিয়েছেন তিনি। সেইসঙ্গে একটা আশঙ্কার অশনি সংকেতও দেখতে পেয়েছেন। একদা দাদামশাই সাবধান করে দিয়েছিলেন একজন গায়িকার কারণেই ছেলে নিখিলের বিপদ আসতে পারে। মায়ের মন। ছেলের জন্য মঙ্গল-অমঙ্গলের ভাবনায় উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠেন কর্তামা। অনেকটা সেই কারণেই শ্যামাকে বাড়ি থেকে চলে যেতে বলেন তিনি। মায়ের আদেশ শুনে বউয়ের পক্ষ নেয় নিখিল। সে স্পষ্ট জানায়, শ্যামাকে যখন অগ্নিসাক্ষী করে বিয়ে করেছি, বউকে ছাড়তে পারব না। তাই আমিও স্ত্রীর অনুগামী হব। ‘রদ্ধশ্বাস পর্ব’র এটাই চুম্বক, শ্যামা ও নিখিল চৌধুরীবাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছে। সুতরাং ধারাবাহিকটির সম্পর্কের রসায়নের পারদ এখন চরমে। শ্যামা-নিখিলের বাড়ি ছাড়ার সিদ্ধান্তে যারপর নাই খুশি রুক্মিণীদের দল। সুতরাং চৌধুরীবাড়িতে ঘনিয়ে আসছে আরও এক অশান্তির মেঘ। তারই মাঝে এক ঝলক আলোর কিরণ। চৌধুরীবাড়ির চৌহদ্দির বাইরে বেরিয়ে এই প্রথম একসঙ্গে নিজেদের নিবিড় করে পেতে চলেছে শ্যামা ও নিখিল।
চরিত্রগুলি চিত্রনাট্যকারের খেয়াল মতো ভালো-মন্দের খেলায় মাতলে কী হবে, তিয়াসা, রিমঝিম, সুস্মিতা, শবরীরা নিত্যদিনের সহকর্মী। স্টুডিওই ওঁদের ঘরবাড়ি। সেখানেই ওঁদের হাসিকান্নার মিলনমেলা। পরিচালকের ‘কাট’ বলার পরই তাই শ্যামার শাড়ির আঁচল ঠিক করে দেয় দিশা। রুক্মিণী জড়িয়ে ধরে চৌধুরী গিন্নিকে। হইহই করে ওঠে গোটা ফ্লোর। একাকার হয়ে যায় ‘রিল’ ও ‘রিয়েল’ জীবনের চিত্রনাট্য।
প্রিয়ব্রত দত্ত ছবি: ভাস্কর মুখোপাধ্যায়