সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মক্ষেত্রে বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার ... বিশদ
এখন প্রশ্ন হল, কেন এত ভালো লাগল? ‘কণ্ঠ’ দেখে মনে হচ্ছে বাস্তব কখন চলচ্চিত্রকে স্পর্শ করেছে আলাদা করে বোঝার উপায় নেই। ক্যান্সার কারও প্রথম দিন ধরা পড়লে বা কারও ক্যান্সার হয়েছে প্রথম তা জানতে পারলে, ঠিক যে অভিজ্ঞতা হয়, ছবিতে সেই ব্যাপারটাই উঠে এসেছে। আরও একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, সিনেমাটিকে কিন্তু অকারণে দীর্ঘায়িত করা হয়নি।
ছবিটা আরজে অর্জুনের (শিবপ্রসাদ) জার্নি। কোনওকিছু হারিয়ে ফেলেও ফিরে পাওয়ার গল্প আছে ছবিতে। পজিটিভিটি আছে। নিজস্ব কোনও শক্তি হঠাৎ হারিয়ে ফেললেও যে জীবন শেষ হয়ে যায় না, সেটা উপলব্ধি হয় কণ্ঠ দেখলে। ছবিটা শুধুমাত্র ভয়েস ওভার আর্টিস্ট বা রেডিও জকির লড়াই করে ফিরে আসার গল্প নয়, প্রত্যেকটা খেটে খাওয়া মানুষের নিজেদের গল্পও। শুধুমাত্র কণ্ঠ দিয়ে নিজেকে প্রকাশ করা, মনের ভাব প্রকাশ করা নেহাৎ সহজ নয়। শিবপ্রসাদের অভিনয়ের কথায় পরে আসছি। রোগীর সেরে ওঠার সঙ্গে অসম্ভবভাবে জড়িয়ে থাকে তার পরিবারের সহযোগিতাও। সেই অর্থে রোগীর পরিবার একটা সাপোর্ট সিস্টেমের মতো। এখানে যেমন অর্জুনের স্ত্রী পৃথা (পাওলি)। অসম্ভব ভালো অভিনয় করেছেন তিনিও। চিকিৎসা ক্ষেত্রে ডাক্তার আর পেশেন্ট বন্ডিংও কিন্তু ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। স্পিচ থেরাপিস্ট রোমিলার (জয়া আহসান) সঙ্গে অর্জুনের বন্ডিংটাও এই ছবির অন্যতম দিক।
পরিচালক শিবপ্রসাদকে বলছি আপনার কোনও সিনেমা, আপনার কোনও অভিনয় এতদিন দেখার সৌভাগ্য হয়নি আমার। নিশ্চিতভাবে আমার বিশ্বাস আপনি অনেক নাম করবেন। সেইসঙ্গে অন্য পরিচালক নন্দিতা রায়েরও ধন্যবাদ প্রাপ্য। আমি এমনিতেই আবেগপ্রবণ মানুষ। যেসব সিনেমায় আবেগ এবং মানুষের ঘুরে দাঁড়ানোর কথা থাকে সেগুলি দেখতে খুব ভালোবাসি। জীবন ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই ছাড়া আর কী! ‘কণ্ঠ’র পুরো টিমকে এই চিকিৎসকের তরফ থেকে, তার গোটা পরিবারের তরফ থেকে হ্যাটস অফ। চালিয়ে যান আপনারা।