মফস্সলের এক মোটর মেকানিক স্বপ্নের সঙ্গে জীবনযাপন করে। আকাশে উড়তে থাকা বিমান তাকে আকর্ষণ করে। একদিন হঠাত্ই গ্রামের জঙ্গলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কালের একটি জাপানি যুদ্ধবিমানের ভগ্নাবশেষ দেখতে পায় সে। তার স্বপ্নের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে থাকে সেই উড়োজাহাজের ভগ্নাবশেষ। একটা সময় সেই উড়োজাহাজটি সে সারাতে শুরু করে, ভাবতে থাকে এই উড়োজাহাজ একদিন আকাশ স্পর্শ করবে। ইতিমধ্যেই উড়োজাহাজ সারানোর খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। লোকজন ভাবতে শুরু করে, এই মেকানিক বুঝি জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত। তার স্বপ্নের উড়ান ধাক্কা খেতে শুরু করে। ক্ষমতাই কি একমাত্র স্বপ্ন দেখার ছাড়পত্র? বুদ্ধদেব দাশগুপ্তর নতুন ছবি ‘উড়োজাহাজ’ সাধারণ মানুষের দেখা স্বপ্নের ভিতরে না পাওয়ার যন্ত্রণার হয়ে এমনভাবেই কথা বলে। মেকানিকের চরিত্রে অভিনয় করেছেন চন্দন রায় সান্যাল এবং তার স্ত্রীয়ের চরিত্রে দেখা যাবে পার্নো মিত্র। আশা করা যায় চলতি বছরে পুজোর সময় এই ছবি মুক্তি পাবে।
অবশ্য, তার আগেই ‘উড়োজাহাজ’ পাড়ি দিল বিলেতে। আগামী জুন মাসের ২২ থেকে ২৬ তারিখ পর্যন্ত লন্ডনের কিছু বিখ্যাত স্থানে এই ছবিটি প্রদর্শিত হবে। তার মধ্যে রয়েছে লন্ডন স্কুল অব ইকনোমিক্স, বিএফআই এবং বার্মিংহামের একটি বিশ্ববিদ্যালয়, এমনটাই জানালেন ছবির সহকারী পরিচালক সোহিনী দাশগুপ্ত। ছবি প্রদর্শনের সঙ্গে থাকছে বুদ্ধদেব দাশগুপ্তর মাস্টার ক্লাস।
নিজস্ব প্রতিনিধি