কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
সেই রবিন মজুমদারের জন্ম শতবর্ষে আবার মঞ্চে অনুষ্ঠিত হল কবি। ডিসেম্বরে ছিল তাঁর জন্ম শতবর্ষ। সেই উপলক্ষে রবীন্দ্র সদনে তাঁর বোন বিশিষ্ট বাচিক শিল্পী গৌরী ঘোষ ও পার্থ ঘোষের সংস্থা ‘উপমা’র উদ্যোগে মঞ্চস্থ হল কবি। তবে এবার আর পূর্ণাঙ্গ নাটক রূপে নয়, শ্রুতি নাটক হিসেবে। নাট্যরূপ দিয়েছেন চন্দন সেন এবং নাট্যনির্দেশনা মেঘনাদ ভট্টাচার্যের। সঙ্গীত আয়োজনে ছিলেন অলোক রায়চৌধুরী। দেড় ঘণ্টার পাঠাভিনয়ে রবিন মজুমদার অভিনীত কবিকে ফিরে দেখার সুযোগ হল একালের শিল্পীদের মাধ্যমে। নিতাই-ঠাকুর ঝি-বসনের ভালোবাসার গল্পকে দর্শকের সামনে আরও একবার সংলাপে গানে পাঠাভিনয়ে মূর্ত হয়ে উঠল। ঠাকুর ঝিকে দেখে নিতাইয়ের বাঁধা গান ‘কালো যদি মন্দ তবে কেশ পাকিলে কান্দো কেনে’ মঞ্চে গেয়ে উঠলেন কবি রূপী নীলাদ্রি ভট্টাচার্য। বসনের ভালোবাসার জন্য, ঘর বাঁধার জন্য হাহাকার ধরা পড়ল কথাকলির উপস্থাপনায়। আর কবির প্রাণের ঠাকুর ঝি যাকে ঘিরে কবির সব গান-প্রেম, সেই ঠাকুর ঝি স্বয়ং কবিয়াল রবিন মজুমদার কন্যা অরুণিতা রায়চৌধুরী। এছাড়া কবিয়ালের প্রাণের বন্ধু রাজনের ভূমিকায় মেঘনাদ ভট্টাচার্যের অভিনয় সমগ্ৰ উপস্থাপনায় প্রাণ সঞ্চার করে। তবে কবির ভূমিকায় নীলাদ্রির উপস্থাপনা যেন মনকে সেভাবে ছোঁয় না। আর ঠাকুর ঝির উপস্থিতি বড় কম নাটকে। সব মিলিয়ে মঞ্চের কবি রবিন মজুমদারের কবির অনুকরণই থেকে গেল, নিজস্বতা পেল না। তবে প্রয়াসটা প্রশংসনীয়। আর এই উদ্যোগের মাধ্যমে রবিন মজুমদারকে শ্রদ্ধা জানালেন কন্যা অরুণিতা ও বোন ভগ্নীপতি গৌরী ও পার্থ ঘোষ।