কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
প্রতিবছর এই দিনে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করা হয়ে থাকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। প্রথমে পরিবেশিত হয় তাঁরই সৃষ্টি ‘মিসিং ইউ’। অংশগ্রহণে উদয়নের শিল্পীরা ও মমতাশঙ্কর। এরপর রুদ্রপ্রসাদ রায়ের তত্তাবধানে ‘পায়েল চক্রবর্তী ডান্স অ্যাকাডেমি’র শিল্পীদের নিবেদন ‘শ্রদ্ধার্ঘ্য’। তথাগতর পরিচালনায় ‘খেজুর গাছে হাঁড়ি বাঁধ মন’ নাচটির কোরিওগ্রাফি খুব নান্দনিক। এরপর স্বনামধন্যা নৃত্যশিল্পী বিদুষী পলি গুহর নির্দেশনায় তাঁর ছাত্রীরা পরিবেশন করেন দুটি রবীন্দ্রনৃত্য ‘ভেঙেছ দুয়ার’ ও ‘উড়িয়ে ধ্বজা’। অসামান্য নৃত্য পরিকল্পনা।
অঙ্কুরের পরিবেশনা ‘মধুর ধ্বনি বাজে’ যথেষ্ট পরিশীলিত। পরে যার নৃত্য সমস্ত দর্শকের চোখে জল এনে দেয় তিনি হলেন শুভজিৎ দাস। ‘কৃষ্ণা নিবেগনি বারো’ নাচে ছোট কৃষ্ণকে নিয়ে মা যশোদার নানা অভিব্যক্তি এত নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন যে দর্শকাসনে বসে মনে হয় মা যশোদা আর কৃষ্ণর মঞ্চ উপস্থিতি যেন বাস্তব। অনুষ্ঠান শেষ হয় একটি কথোপকথনের মধ্যে দিয়ে যেখানে ‘শঙ্কর স্কোপ’ নিয়ে আলোচনা হয়। এটি পণ্ডিত উদয়শঙ্করের একটি অসামান্য সৃষ্টি। যেখানে শিল্পীকে মঞ্চে দেখা যাচ্ছে আবার তাকে স্ক্রিনেও দেখা যাচ্ছে, অর্থাৎ মঞ্চ ও স্ক্রিনের এক অদ্ভুত মেলবন্ধন,অসাধারণ কৌশল পদ্ধতি ও তার নিখুঁত প্রয়োগ। এদিন আলোচনায় উদয়শঙ্কর সম্পর্কে অনেক কিছু আমরা জানতে পারি। তাঁর চিন্তাধারা,ব্যক্তিত্ব, প্রশিক্ষণ পদ্ধতি সম্বন্ধে জানতে পারি মমতাশঙ্কর, পলি গুহ, দেবযানি চালিয়া, ঝর্ণা দত্ত ও বাচিক শিল্পী চন্দ্রোদয় ঘোষের স্মৃতিচারনায়।