কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
দ্বিতীয় পর্বে পাঁচটি সংস্থা পাঁচটি সমবেত রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশন করেন। ‘জগৎ জুড়ে উদার সুরে’ (রবিরঞ্জনী), ‘বহে নিরন্তর অনন্ত আনন্দধারা’ (মেধাবী), ‘আনন্দেরই সাগর হতে’ (ক্ষণিকা), ‘এত আনন্দ ধ্বনি’ (প্রাচীন-প্রবাহিনী) ‘আনন্দধ্বনি জাগাও’ (দক্ষিণ কলিকাতা নান্দনিকী)। প্রায় ১৬০ জন শিক্ষার্থী সব শেষে ‘সুরের গুরু’ গানটি গেয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। প্রতিটি সম্মেলক গানই অত্যন্ত হৃদয়গ্রাহী।
বিরতির পর শেষ পর্বে আশিস ভট্টাচার্য একক রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশন করেন। বলা বাহুল্য এই বয়সে শিল্পীর কণ্ঠমাধুর্য তিনটি সপ্তকে স্বতঃস্ফূর্ত চলন, নিখুঁত স্বরক্ষেপণ, বাণী-সুরের সাযুজ্য, সমস্ত কিছুই যেন শিল্পীর নিজের কবলে। পূজা ও প্রেম পর্যায় মিলিয়ে আঠারোটি গান পরিবেশন করেন। ‘নিভৃত প্রাণের দেবতা’, ‘সেই তো আমি চাই’, ‘শান্তি কর বরিষণ’, ‘যা পেয়েছি প্রথম দিনে’, ‘চিরদিবস নবমাধুরী’,— পূজা পর্যায়ের এই গানগুলির আত্মিক নিবেদন, মরমী ও সুরেলা কণ্ঠে ভাবমাধুর্যে পরিপূর্ণ। প্রেম পর্যায়ের ‘দিবস রজনী আমি যেন কার’ ‘আমায় থাকতে দেনা’, ‘সে যে বাহির হল’, ‘বিনা সাজে সাজি’, ‘আজি আঁখি জুড়ালো’, গানগুলির মধুরতা, সুষ্ঠ সুন্দর কণ্ঠ ব্যঞ্জনা, সুর-শুদ্ধতা, কণ্ঠের গভীর বৈভব, পরিবেশনার সৌন্দর্যে উজ্জ্বল। তাঁর গানে প্রেম-পূজা একাকার হয়ে যায়। স্বল্পশ্রুত গান আজকাল কোনও শিল্পীর কণ্ঠেই শোনা যায় না। প্রেক্ষাগৃহ পূর্ণ এই অনবদ্য বৈচিত্র্যপূর্ণ অনুষ্ঠানের ঐতিহাসিক সাক্ষী রইলেন তাঁর অগণিত গুণমুগ্ধ শ্রোতা, শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিল্পীবন্ধুগণ ও অবশ্যই শিক্ষার্থীরা।