মানসী নাথ: বিগত দু’বছরের মতোই এবারও সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বঙ্গ প্রবাসী মিলাপ ২০১৯। ৬ ও ৭ ডিসেম্বর উৎসবের দুদিন চারটি বাংলা ছবি দেখানো হবে। সঙ্গে থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রদর্শিত হবে ‘গুমনামি’, ‘সত্যান্বেষী ব্যোমকেশ’, ‘মিতিন মাসি’ ও ‘মুখোমুখি’।
ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশে দারিদ্র্য মানুষের নিত্যসঙ্গী। অনাহারে বা অর্ধাহারে দিন কাটায় বহু ছেলেমেয়ে। তাদের কাছে পারফর্মিং আর্টের বিভিন্ন শাখায় প্রশিক্ষণ নেওয়াটা নিতান্তই বাতুলতা।
বিশ্বসঙ্গীত দিবস উপলক্ষে সুরেলা অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টস-এর প্রভাতী সঙ্গীতানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়ে গেল শিশির মঞ্চে। অনুষ্ঠানের সূচনা অভিনবত্বের দাবি রেখে সকল শ্রোতা ও শিল্পীবৃন্দর সমবেত কণ্ঠে ‘আকাশ ভরা সূর্য তারা’ গান দিয়ে।
ষোড়শ বর্ষে ‘রবি পরম্পরা’র নিবেদন ছিল ‘সব দিবি কে’ শীর্ষক এক সুন্দর অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয় উত্তম মঞ্চে। রবীন্দ্রনাথের গানে ছয় ঋতুর আনাগোনায় কখনও আবাহন, তো কখনও বিসর্জনের সুর শোনা যায়।
কবিতা নিছক শব্দের সম্ভার নয়। রাজনৈতিক ও আর্থসামাজিক পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে কবিদের ভাবনাও পরিবর্তিত হয়। আর সেই ভাবনার প্রকাশ ঘটে কবিতার আঙ্গিকে। নতুন কবিতা সৃষ্টির জন্য আমাদের সংস্কৃতির পরম্পরা সম্বন্ধে অবগত হওয়া বাঞ্ছনীয়।
অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি। প্রিয়জনের বিপদগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা। সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
সম্প্রতি এদেশে আমেরিকান সেন্টারের ২২৫তম বর্ষ উৎযাপন উপলক্ষে সেন্টারের লিঙ্কন রুম অডিটোরিয়ামে এক ভিন্নধর্মী বর্ণোজ্জ্বল সঙ্গীত সন্ধ্যার সাক্ষী হয়ে থাকলেন মুষ্টিমেয় শহরবাসী। ‘ইস্ট মিটস ওয়েস্ট’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে শিল্পী ও কলাকুশলীদের পরিচয় করানোর সূত্রে ডিরেক্টর মণিকা সিয়ার ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, শিল্পগত ও সাঙ্গীতিক মেলবন্ধন সম্বন্ধে বলেন যা এই সমবেত সঙ্গীত পরিবেশনের অন্যতম পটভূমি। মূল অনুষ্ঠানটি তিনটি ভাগে বিভক্ত ছিল। প্রথম পর্বে আমেরিকার বিবিধ মিউজিক ব্যান্ডের বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র বাদনে পারদর্শী এমন সাতজন কণ্ঠ ও যন্ত্রশিল্পী কলোরাডো অঞ্চলের ঐতিহ্যশালী সঙ্গীত ব্লু গ্রাস জার্নিমেন আঙ্গিকে সাতটি গান পরিবেশন করেন। ভারতীয় লোকসঙ্গীতের মেলবন্ধন স্বরূপ মহীনের ঘোড়াগুলি থেকে নেওয়া ‘একটা গল্প বলি শোনো’, প্রয়াত গীতিকার অরুণেন্দু দাসের স্মরণে ‘দখিনা বাতাস’, ‘নর্থ ক্যারোলিনা’, ‘ব্লু গ্রাস টিউন’, ‘সিটি লিমিটস’উল্লেখ্য। ম্যান্ডোলিন ও কণ্ঠে প্যাট্রিক ফিটসিমন্স, ডবরো স্লাইড গিটারে বিলি কার্ডিন, ব্যাঞ্জোতে শন নিকোলিন, গিটারে সামার্স বেকার, চেলোতে অ্যান্ড্রু কোনলে, ফিডলেতে কোলম্যান স্মিথ, আপরাইট বাসে জিন ডেভিস আর গুরুত্বপূর্ণ কণ্ঠে তথা ইউকেলিলি বাদনে সহযোগিতা করেন নবনীতা সরকার। জনপ্রিয় হিন্দি গান ‘তুঝে দেখা তো ইয়ে জানা সনম’ উক্ত শিল্পীদের কণ্ঠে শুনতে পাওয়া বেশ মজাদার অভিজ্ঞতা। দ্বিতীয় পর্বে বাংলা তথা বাংলাদেশের বহমান লোকসঙ্গীতের ধারা এবং সমকালীন বাংলা গানের এক অনন্য উপস্থাপনা করে ‘আরশিনগর’ গ্রুপের ৪জন এবং দু’জন আমন্ত্রিত সদস্য। আমানত ফকিরের গাওয়া ‘যারে হারাই এ জীবনে’, মৃত্তিকা মালাকারের গাওয়া ‘কাজল ভ্রমরা রে’, শেষে শুভদীপ গুহের কণ্ঠে ‘কে বলে মানুষ মরে’ উপস্থিত দর্শকরা দারুণ উপভোগ করেন। বেস গিটারে কৃশানু ঘোষ, লিড গিটারে অঞ্জন রায়চৌধুরী, ঢোল, খোল ও পারকাসনে নীলাংশুক দত্ত অনবদ্য সহযোগিতা করেন। অনুষ্ঠানের তৃতীয় তথা শেষ পর্বে ব্লু গ্রাস জার্নিমেন এবং আরশিনগর সমবেতভাবে চারটি কম্পোজিশন উপহার দেয়। একটি রোমান্টিক ও স্কুইরেল হান্টার্স,আব্বাসউদ্দিন সাহেবের ‘নাও ছাড়িয়া দে’ এবং কবীরের একটি সুন্দর কম্পোজিশন দিয়ে এদিনের সন্ধ্যার মধুরেণ সমাপয়েৎ হয়।
—অমিত চক্রবর্তী
ছবি: প্রতিবেদক
ছবি: প্রতিবেদক
