গত ২০ থেকে ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত হল ত্রিধারা উৎসব। খাবার, হস্তশিল্প, বিভিন্ন নামী পোশাক বিপণনের স্টল সহ যাবতীয় বিনোদনের ব্যবস্থা ছিল এখানে।
কর্মপ্রার্থীদের বিভিন্ন দিক থেকে শুভ যোগাযোগ ঘটবে। ব্যবসায় যুক্ত হলে ভালোই হবে। প্রেম-প্রণয়ে নতুনত্ব আছে। ... বিশদ
মৌনমুখর সংস্থা গত পঁয়ত্রিশ বছর ধরে মূকাভিনয় চর্চা ও এই শিল্প মাধ্যমকে জনপ্রিয় করার কাজে ব্রতী রয়েছে। সম্প্রতি এই সংস্থার তরফে শিশির মঞ্চে আয়োজিত হয়েছিলে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার। শুরুতে সম্মান প্রদান করা হয় নাট্যজগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র অরুণ মুখোপাধ্যায় ও সুরকার কল্যাণ সেন বরাটকে। তাঁরা মৌনমুখরের দীর্গ পথচলা ও কর্মকাণ্ডকে সাধুবাদ জানান। দ্বিতীয় পর্বে অনুষ্ঠিত হয় মৌনমুখরের শিল্পীদের দ্বারা একক ও সমবেত মূকাভিনয়। প্রায় প্রতিটি বিষয়বস্তুতে নতুন ভাবনাচিন্তার আমদানি করেন নির্দেশক তথা মূকাভিনেতা শান্তিময় রায়। মূকাভিনয়ের ‘টুকিটাকি’ দিয়ে শুরু করে ‘কবাডি খেলা’ ও ‘ফুটবল’-এর একক অভিনয়ে নির্দেশক শান্তিময় অনবদ্য। সমবেত মূকাভিনয়ের মধ্যে ‘একতাই শক্তি’ ও ‘জাতিভেদ’-এর মতো বিষয়গুলি ফুটে ওঠে। ‘লিচু চোর’ কবিতার মূকাভিনয় রূপটিতে মৌনমুখর সফল। কবিতার বিষয়বস্তু সুন্দর ফুটে উঠেছে। ‘লোভী চাষী’-তে অভিনয় ভালো হলেও গল্পের দুর্বলতায় সেভাবে পরিস্ফুট হয়নি। ‘বৃক্ষই জীবন’-এ হরবোলার পরীক্ষামূলক ব্যবহার একেবারেই নতুনত্ব। পরিবেশ দূষণের বিষময় পরিণতির কথা বলে আমাদের সচেতন করার চেষ্টা হয়েছে। কল্যাণ সেন বরাট ও আবির রায়ের আবহ ঠিক পথেই চলেছে। আলোর ব্যবহার নিয়ে পরবর্তী সময়ে আরও ভাবনার প্রয়োজন।
নিজস্ব প্রতিনিধি
