যে কোনও ব্যবসায় অগ্রগতি আশা করা যায়। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কর্মের প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা হতে ... বিশদ
টেলিভিশন কেরিয়ারের আট বছর পেরিয়েছেন রুবেল। একসময় পেশাদার নৃত্যশিল্পী ছিলেন তিনি। ধারাবাহিকের রুটিনে নাচ মিস করেন? হেসে বললেন, ‘এক সময় নাচ আমার সারাক্ষণের কাজ ছিল। এখন সেটা হয় না। ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্র করতে গেলে অন্য কাজের সময় পাওয়া যায় না। একটু খারাপ লাগা তো আছেই। তবে আমার নাচের বিষয়টা অনেকেই জানেন। সেজন্য আমার চরিত্রের সঙ্গে নাচকে মিশিয়ে দেওয়ার হয় অনেক সময়। এখানে আমার চরিত্রের নাম সৃজন। নাচ এর সঙ্গেও জুড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে আগের মতো নাচ প্র্যাকটিস করা হয় না।’
প্রতিদিন কীভাবে নিজের পারফরম্যান্স আরও ভালো করা যায়, সে চেষ্টা করেন রুবেল। পাশাপাশি ইন্ডাস্ট্রিরও কিছু দায়িত্ব রয়েছে বলে মনে করেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘আমি যখন কাজ শুরু করেছিলাম, ২৪ ঘণ্টাও কাজ হতো। আমার শোনা কথা, আগে টেলিভিশনের ক্ষেত্রে মিডিয়াটা অন্যরকম ছিল। ডিরেক্টরস মিডিয়া ছিল। একটা নিয়মে কাজ হতো। ওয়ার্কশপ করতেন শিল্পীরা। চরিত্র নিয়ে সকলের সঙ্গে আলোচনা করা হতো। সব বিভাগ নিজেদের কাজ সম্পর্কে সচেতন ছিল। কী কাজ করতে হবে, তারা তা আগে থেকে জানত। সময় নিয়ে কাজ করা হতো। এখন টেলিভিশন আর ডিরেক্টরস মিডিয়া নয়। সেটা সকলের ক্ষেত্রেই কঠিন হয়েছে। অভিনেতাদের প্রস্তুতির সময় কমে গিয়েছে। অনেকে হয়তো জানতেও পারে না, কালকে আমার কোন দৃশ্য রয়েছে। এটা নিয়ে একটু ভাবা উচিত বলে মনে হয়।’ তবে সহকর্মীদের প্রশংসাও করলেন তিনি। ‘আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে প্রত্যেকে এত দক্ষ, কম সময়ের মধ্যেও নিজেদের সেরা কাজটা করতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে। তবে আর একটু নিয়ম মেনে যদি কাজ হয়, তাহলে বোধহয় আরও ভালো হবে’, বললেন তিনি।
পরিবারের সদস্যদের মতামত কাজের ক্ষেত্রে রুবেলের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আর ইন্ডাস্ট্রিতে কার কথা শোনেন? অভিনেতা জবাব, ‘ইন্ডাস্ট্রিতে আমার খুব বেশি পরামর্শদাতা নেই। তবে শ্বেতার (অভিনেত্রী তথা রুবেলের প্রেমিকা) কথা আমি শুনি। কোনও সিন দেখে নিজে ফোন করলে খুব ভালো লাগে।’