বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ধারাবাহিকের মুখ্য চরিত্র ‘গৌরী’র বিরুদ্ধে নিত্যনতুন ষড়যন্ত্র করতে ব্যস্ত ‘শৈল মা’। তাঁর অভিনয় যে পছন্দ হচ্ছে দর্শকের, তার রিপোর্ট কার্ড হাতে চান্দ্রেয়ী বললেন, ‘প্রায় দেড় বছর চলছে এই ধারাবাহিক। প্রথম দিকে বেঙ্গল টপার হয়েছে কয়েকবার। সব সময় ভালো জায়গাতেই ছিল। এবার অনেকদিন পরে আবার আমরা এক নম্বরে।’ কিন্তু সংখ্যার বিচারে টিআরপি কমছে কেন? অভিনেত্রীর ব্যাখ্যা, ‘দর্শকের অভ্যেস ধীরে ধীরে বদলাচ্ছে। এখন অ্যাপের মাধ্যমেও ধারাবাহিক দেখছেন মানুষ। এগুলো তো আগে ছিল না। আগে অপশন কম ছিল। এখন এত ওটিটি প্ল্যাটফর্ম। সেটাও ভাবার বিষয়।’
সত্যিই এখন রকমারি কনটেন্ট দেখার সুযোগ পান দর্শক। সেই পরিস্থিতিতে টেলিভিশনের গল্প কি বদলাচ্ছে? চান্দ্রেয়ীর উত্তর, ‘টেলিভিশনের গল্প সেই অর্থে পরিবর্তন হয় না। হয় বললে ভুল বলা হবে। সেটা হওয়া জরুরি। আমরা সকলেই বুঝতে পারি। আসলে দৈনন্দিন জীবনের মধ্যে, অভ্যেসের মধ্যে টেলিভিশনের একটা অন্যরকম ব্যাপার থাকে। সেটা ওয়েব বা ছবিতে নেই। তবুও মূল বিষয়ে পরিবর্তন এলে সকলেরই ভালো লাগবে।’
দীর্ঘ কেরিয়ার চান্দ্রেয়ীর। নেগেটিভ চরিত্রে তিনি সবসময়ই সাফল্য পেয়েছেন। কিন্তু পর পর নেগেটিভ চরিত্র কি তাঁকে ক্লান্ত করে? চান্দ্রেয়ীর জবাব, ‘ক্লান্তি আসে না। কারণ পাশাপাশি ওটিটি বা ছবিতে অন্যরকম চরিত্র করছি। মানুষ আমাকে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে, বিভিন্ন চরিত্রে গ্রহণও করেছেন। সেখানে অভিনয়ের ধরনও আলাদা। সেজন্য আমি নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে করি। এখানে শৈলর কিছু ফ্ল্যাশব্যাক মাঝেমধ্যে দেখানো হয়। যেখানে ও খুব সরল একটা মেয়ে ছিল। বোকা। চালাক নয় কিন্তু। ছোট থেকে শৈলর ব্রেনওয়াশ করা হয়েছে। এখন ও মনে করে, আমি মানুষ নই, সুপার হিউম্যান। এটা মাথায় ঢুকে গিয়েছে। এই চরিত্রের না পাওয়াগুলোও ফুটিয়ে তুলতে হয়। ফলে চরিত্রটা আমার ভালো লাগে।’
‘গৌরী এল’-র পাশাপাশি আজ শুক্রবার থেকে নতুন একটি কাজ শুরু করছেন চান্দ্রেয়ী। তিনি বললেন, ‘হইচই-এর নতুন হইচই ‘কেয়ার অব চৌধুরী বাড়ি’র শ্যুটিং আজ থেকে শুরু করব।’