পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
‘ইন্দু ২’ প্রথম সিজনের থেকে কতটা আলাদা?
এই সিজনে প্রত্যেকটা চরিত্রের একটা ব্যাক স্টোরি রয়েছে। চরিত্রগুলো খুব স্পষ্টভাবে দেখানো হচ্ছে। রহস্য আগের বারের থেকে বেশি। আবহ একই।
প্রথম সিজনের মতো চরিত্রের ম্যানারিজম, আবেগ ধরে রাখা কঠিন?
ভাগ্যিস এটা জিজ্ঞেস করলেন। আমাদের গল্পটার কিন্তু কোনও বিরতি নেই। সিজন ওয়ানে যেদিন পর্যন্ত দেখানো হয়েছিল সিজন টু ঠিক তার পরের দিন থেকে শুরু। চরিত্রগুলো একই রকম ভাবে ব্যবহার করছে। আমার প্রত্যেক মুহূর্তে মনে হয়েছে ব্যালেন্সটা ঠিক আছে তো? চরিত্রের একই ভাবে কথা বলা, মেজাজ ধরে রাখতে কষ্ট হয়েছে। মাঝে অনেকগুলো কাজ করেছি তো আমরা। চেহারাটাও ধরে রাখা কঠিন। আমার ধারণা প্রথম সিজনে আর একটু ভরাট ছিলাম। এবার একটু কাঠকাঠ। ফলে যতখানি কাছাকাছি করা যায় সে চেষ্টা আমরা করেছি।
মহিলা গোয়েন্দারা সংখ্যালঘু। সেক্ষেত্রে ‘ইন্দু’র চ্যালেঞ্জ কতটা?
ইন্দু একটা নিজস্ব জায়গা তৈরি করেছে। প্রচুর ভালোবাসা পেয়েছে। অন্যান্য অনস্ক্রিন গোয়েন্দা চরিত্রের পাশাপাশি আমি নিশ্চিত ইন্দুর নাম উঠে আসে। কিন্তু ইন্দুর অন্য গোয়েন্দাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা নেই। আর এখন তো সবকিছুই চ্যালেঞ্জিং।
কেন এটা বলছেন?
এখন সাধারণ ভাবে মজা করতে ভুলে গিয়েছে বেশিরভাগ মানুষ। সব কিছু সমালোচনার চোখ দিয়ে দেখেন সব সময়। কিছুদিন আগে একটা ভিডিও শেয়ার করেছিলাম। সপ্তাহে সাতদিন কীভাবে ঘুমোব সেটা ছিল ভিডিওর বিষয়। তাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষের প্রশ্ন, আপনি বাড়িতে এত মেকআপ করে ঘুমোন? ব্যাপারটা তো তা নয়। সামান্য মজা দেখে আনন্দ পেতে ভুলে গিয়েছেন।
সোশ্যাল মিডিয়া প্রভাবিত করে কতটা?
একেবারে প্রভাবিত করে না তা নয়। আবার প্রভাবিত করলেও আমি কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করি তাও নয়। মাঝে মাঝে মনে হয়, আমরা কোথায় বাস করছি? কে কত জানে সেটাই দেখাতে ব্যস্ত সকলে। আমি যদি প্রতিক্রিয়া দিই, তাহলে প্রতিটা পদে তা দিতে হবে।
ইশা ব্যক্তিজীবনে ‘ইন্দু’র মতো গোয়েন্দাসুলভ আচরণ করে?
একেবারেই নয় (হাসি)। ইন্দু অনেক কিছু জানতে চায়। আমি চাই না।
নতুন ছবি আসছে তো?
হ্যাঁ, আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাবে পরমা নেওটিয়ার পরিচালনায় ‘মিথ্যে প্রেমের গান’। এটা ওর প্রথম ছবি। অরিত্র সেনের পরিচালনায় ‘ঘরে ফেরার গান’ও এ বছর মুক্তি পাবে।
ডেবিউ পরিচালক পরমার সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?
পরমার প্রথম ছবি হলেও কোনও বিভ্রান্তি ওর ছিল না। কী চাইছে সেটা ওর কাছে স্পষ্ট। আমাকে এত ভালো দেখতে কোনও ছবিতে লাগেনি। আউটলুকটা একেবারে আলাদা। নিউ ইয়র্ক থেকে ফিল্ম নিয়ে পড়াশোনা করেছে পরমা। ফলে ভালো কাজ করবে ও।