বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
প্রথম সম্পর্কের ব্যাপারে মুখে কুলুপ আঁটলেও দ্বিতীয় সম্পর্ক নিয়ে দ্বিধাহীন এই টেলিভিশন তারকা। সদ্য ‘প্রজাপতি’ ছবিতে মিঠুন চক্রবর্তী, দেবের মতো হেভিওয়েটদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অভিনয় করে শ্বেতা ফিরেছেন তাঁর চেনা মাটি অর্থাৎ সিরিয়ালের সংসারে। ‘সোহাগ জল’-এর ‘জুঁই’ হয়ে ধরা দিচ্ছেন বাঙালির ড্রইংরমে। এর আগে নতুন সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন করলে এড়িয়ে যাননি। আবার সরাসরি স্বীকারও করেননি। রুবেলের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে আর লুকোচুরি করতে নারাজ তিনি। হেসে বললেন, ‘লিখতে পারেন। আমার অসুবিধা নেই। আমরা একই স্কুলে নাচ শিখতাম। ধারাবাহিক ‘যমুনা ঢাকি’ করার সময় সেই বন্ধুত্বটাই ফিরে আসে। ভবিষ্যতে রুবেলের সঙ্গেই পথ চলার ইচ্ছে। বাকিটা ভগবানের হাতে।’ সতর্ক শ্বেতার স্বীকারোক্তি, ‘আগে একটা সম্পর্কে ছিলাম। এখন একটা নতুন সম্পর্কে এসেছি। আমি কারও সম্পর্কে নিন্দা কখনও করিনি। করতে ভালোওবাসি না। নিশ্চয়ই কোনও কারণ ছিল বলে সেই সম্পর্কটাতে আমি আর নেই।’
সম্পর্কের কথা স্বীকার করলেও এই মুহূর্তে বিয়ের পরিকল্পনা নেই বলে জানালেন অভিনেত্রী। কারণ? শ্বেতার জবাব, ‘আমি আগে থেকে পরিকল্পনা করলে দেখেছি সেটা তেমন সাকসেসফুল হয় না। তাই এবার ঠিক করেছি ‘গো উইথ দ্য ফ্লো’, এই নীতিতে চলব।’প্রেমিক-প্রেমিকা বা স্বামী-স্ত্রী একই কর্মজগতে থাকলে ব্যক্তিত্বের সংঘাত আসার সম্ভবনা থাকে। সে বিষয়ে কিছু ভেবেছেন? শ্বেতার কথায়, ‘ভয় যে নেই তা নয়। তবুও তো মানুষ আশায় বুক বাঁধে। মানসিকতার বাঁধনটা কোথাও একটা দৃঢ়তার জায়গা তৈরি করেছে বলেই ভবিষ্যতের কথা ভেবেছি আমি আর রুবেল। এখনও পর্যন্ত সেই রেষারেষি কিন্তু নেই একে অপরের প্রতি। আমার সাফল্যে ওকে উচ্ছ্বসিত হতে দেখেছি।’
প্রিয়ব্রত দত্ত