বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ছবির নাম ‘দিলখুশ’। বিষয়টা কী?
আমাদের এখানে অনেক রোমান্টিক ছবি তৈরি হয়। আর সবাই দাবি করেন তাদের ছবিটা অন্যরকম। তবে ‘দিলখুশ’ সত্যিই অন্যরকম প্রেমের গল্প। এখনও পর্যন্ত যত প্রেমের ছবি দেখেছি বা নিজে অভিনয় করেছি সেগুলোর থেকে এই ছবিটা একেবারেই আলাদা। ছবিতে চারটে আলাদা জুটির গল্প রয়েছে। এদের প্রত্যেকেই ভীষণরকম একা। তাদের জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়া নিয়েই গল্প। ছবিটা প্রতিটি দর্শককে জীবন ও প্রেম নিয়ে কিছু না কিছু শিক্ষা দেবে।
আপনার চরিত্রটা কীরকম?
এটা আমার চার নম্বর বাংলা ছবি। আগের প্রায় সব ছবিতেই খুব ছটফটে, বেশি কথা বলে এমন চরিত্রে অভিনয় করেছি। এবার একদম উল্টো ধরনের চরিত্র। পুষ্পিতা (ছবিতে আমার চরিত্রের নাম) খুবই অন্তর্মুখী, একাকী। মনের কথা শুধু তার পোষা বিড়ালকেই বলে সে।
পরিচালক রাহুল মুখোপাধ্যায় এবং অভিনেতা সোহম মজুমদারের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কিরকম?
রাহুলদা অসাধারণ। যতই চাপ থাকুক না কেন, যেটুকু প্রয়োজন রাহুলদা সেটা ঠিক আদায় করে নেন। তাই আমরা অভিনেতারাও ভালো সাপোর্ট পাই। আর সোহম তো দারুণ অভিনেতা। কাজের জন্য ভীষণরকম তৈরি ও।
ভবিষ্যতে কী ধরনের কাজ করতে চান?
ছোটবেলায় মনে হতো ‘সাত খুন মাফ’-এর প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার মত কোনও চরিত্র বা কোন জটিল চরিত্রে অভিনয় করব। এখন চাহিদাটা বদলে গিয়েছে। কমফোর্ট জোন থেকে আমাকে বের করে নিয়ে আসবে, এমন যদি কোনও কাজ পাই। সেটাই হবে আমার স্বপ্নের চরিত্র।
কী কী কাজ চলছে?
‘দিলখুশ’ মুক্তির পর তেলুগু ছবির বাকি কাজ শেষ করব। ওয়েব সিরিজ ‘জাতিস্মর’ প্রায় শেষ। আর একটা হিন্দি ওয়েবের কথা হয়েছে। সেটা হয়তো শুরু হবে। আসলে একটু ছুটি নিতে চাই এই মুহূর্তে। সেই ছুটিতে নিজের অভিনয়টাকে আর একটু ঘষামাজা করতে চাই। তারপর আবার নতুন কাজ হাতে নেব।
দক্ষিণে আর কোন কাজ করছেন?
অনেকগুলো প্রস্তাব আছে। তবে এই মুহূর্তে দক্ষিণ কেন বাংলাতেও কিছুদিন কাজ করব না। বেড়াতে যেতে চাই। তারপর ফিরে এসে আবার কাজে মন দেব।
মাঝেমধ্যেই তো সোলো ট্রিপে যান। এবার কোথায় যাচ্ছেন?
হ্যাঁ, শেষবার উত্তরাখণ্ড গিয়েছিলাম। এবার ভুটান যাব ভাবছি। দিন ১০-১৫র জন্য।
জীবনে নতুন প্রেম?
কাজ আর ঘোরা- এটাই তো জীবন আর প্রেম (হাসি)।
ছবি: দীপেশ মুখোপাধ্যায়