কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
প্রথম কথা, এই ২০২২ সালে দাঁড়িয়ে এই রকম মেয়ে কি আদৌ খুঁজে পাওয়া যাবে, যে সুপারস্টারের স্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখে জীবন কাটাবে! এবং সেই সঙ্গে ছবিতে প্রসেনজিতের অন্তত কুড়ি বছর আগের কিছু মেইন স্ট্রিম ছবির ক্লিপিংস ছাড়া এমন কিছুই দেখানো হয়নি যা থেকে একেবারে অন্যরকম কিছু মেয়েটি খুঁজে পায়। সে কলকাতা শহরে, মধ্যবিত্ত পরিবারে বড় হয়ে যদি কাজ-কর্ম-পড়াশোনা সব ছাপিয়ে শুধু ‘প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়’র স্ত্রী হবে বলে আশা করে থাকে তাহলে ছবিটিকে এভাবে না সাজালেই পারতেন পরিচালক। অপর পক্ষে, নামের কারণে ফিল্মস্টার প্রসেনজিৎকে ঘৃণা করা এবং একান্তে তাঁর সঙ্গে দ্বন্দ্বে নেমে পড়ে একেবারে ঋতুপর্ণা নামের একটি মেয়েকে বিবাহ বন্ধনে বেঁধে তাকে দিয়ে নিজেকে ঘৃণ্য প্রমাণ করার উচ্চাকাঙ্ক্ষার মধ্যেও বিশ্বাসযোগ্য, বাস্তব লজিক পাওয়া যায় না। প্রসেনজিতের স্টারডম প্রশ্নাতীত। তা স্বত্ত্বেও গোটা ব্যাপারটা শুধু ‘বাবা কেন চাকর’, ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ’ ইত্যাদি কিছু মশালা ছবির মধ্য দিয়ে না দেখিয়ে অভিনেতা প্রসেনজিতের কিছু অসামান্য কাজ রাখলে ছবিটি সম্পূর্ণ হতে পারত।
প্রসেনজিৎ এবং ঋতুপর্ণা নামের চরিত্রদুটিতে প্রায় নতুন দুই অভিনেতা-অভিনেত্রী কাজ করেছেন। ঋষভ বসু এবং ইপ্সিতা মুখোপাধ্যায় দু’জনেই তুখোড় অভিনয় করেছেন। ছবির মূল আকর্ষণ তাঁরাই। প্লটের খামতিগুলো দু’জনেই অতিক্রম করে যেতে পেরেছেন। ঋতুপর্ণার মায়ের ভূমিকায় মানসী সিনহা যথারীতি দুর্দান্ত। মহিলাদের মধ্যে তাঁর মতো কমিক টাইমিং এই মুহূর্তে বাংলা ছবির জগতে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। প্রসেনজিতের কাজ নিয়ে নতুন করে আর কী-ই বা বলার আছে! এই ছবিতেও তিনি নিজের নামভূমিকায় যথাযথ গ্ল্যামরাস আর স্মার্ট। ‘ষাট বছরের বুড়ো মাল’- এর হাড়ে এখনও যে ভেলকি খেলে, ‘প্রসেনজিৎ ওয়েডস ঋতুপর্ণা’ প্রমাণ করে। আর যার কথা না বললেই নয়, তা হল এই ছবির গান। দেবদীপ মুখোপাধ্যায়, রণজয় ভট্টাচার্য, শোভন গঙ্গোপাধ্যায়ের সুরারোপ বাংলা ছবির গানে তাজা হাওয়ার আমদানি করেছে।
প্রসেনজিৎ এবং ঋতুপর্ণার বিয়ের আমন্ত্রণ এই নভেম্বরের ভরা বিয়ের মরশুমে অন্যতম আকর্ষণ নিঃসন্দেহে।