বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
একটি দুর্ঘটনায় ইহলোক ও পরলোকের মধ্যে অয়ন কাপুরের (সিদ্ধার্থ মালহোত্রা) অস্তিত্ব সঙ্কট উপস্থিত হয়। একদিকে ছুরি-কাঁচি হাতে শল্যবিদের সামনে পড়ে থাকে অয়নের নিস্পন্দ দেহ। অন্যদিকে চিত্রগুপ্ত (অজয় দেবগণ) জীবন্মৃত অয়নকে এক বিচিত্র গেম শোয়ে অবতীর্ণ করেন। কিছু কাল্পনিক ও কিছু বাস্তবিক পরিস্থিতির মায়াজালে তাকে আবদ্ধ করা হয়। এই গেম শোয়ে অয়নের পারফরম্যান্স দেখেই ঠিক হবে, সে আবার বেঁচে উঠবে, নাকি নরকে প্রেরিত হবে! শোয়ের প্রথম দফায় চিত্রগুপ্ত অয়নকে এক ছিদ্রান্বেষী মানুষ হিসেবে চিহ্নিত করেন, যে একটা বড় সাদা বোর্ডের মধ্যেও একটি ক্ষুদ্র কালো বিন্দু খুঁজে বের করতে চায়। এই তীর্যক ব্যঙ্গটি চিত্র সমালোচকদের উদ্দেশে, সেটা বুঝতে অসুবিধা হয় না। পরবর্তী একটি পর্যায়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়া এক ঋণগ্রস্ত রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীর ভূমিকায় ফেলা হয় তাকে।
পুলিসের ভূমিকায় আবির্ভাব ঘটে অয়নের স্ত্রী রুহির (রাকুলপ্রীত সিং)। দস্যুকে সাধারণের চোখে করুণার পাত্র করে তোলার বস্তাপচা ফর্মুলা দেখা যায় এখানে। অন্তিম পর্যায়ে নৃত্যরতা নোরা ফতেহির প্রলোভনকে জয় করে অয়ন বিশ্বস্ততার পরিচয় দিতে পারে কি না, তার পরীক্ষা হয়।
তুচ্ছতা এই ছবির সর্বত্র, সর্বক্ষণ। ছবি শুরু আর শেষের মাঝখানের দু’ঘণ্টায় চোখের সামনে যা যা হল, সেগুলো কি বয়সকে কমিয়ে দিয়েছিল? নাকি ওটাই জীবনের ওপারের চেতনার প্রতিরূপ, এই সংশয়ে আক্রান্ত হবেন দর্শক।