বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
গল্পের দিক থেকে এই ছবি নিয়ে বিশেষ কিছু বলার নেই। কারণ ছবিতে সেরকম কোনও গল্পই খুঁজে পাওয়া যায়নি। যাঁরা এই ছবিতে গল্প খুঁজে পাবেন— তাঁরা আর যাই হোক কোনও লজিক খুঁজে পাবেন না, একথা হলফ করে বলা যায়। এই ২০২২-এ দাঁড়িয়েও এক আদ্যোপান্ত নারীবিদ্বেষী চরিত্র নিয়ে যে আস্ত একটা ছবি বানিয়ে ফেলা যায় এবং ছবির শেষে কোথাও প্রচ্ছন্নভাবে সেই চরিত্রের প্রতি সহানুভূতি জাগিয়ে তোলার একটা সূক্ষ্ম প্রত্যাশা চলে সেটাই আশ্চর্যের। এবং ভয়েরও। যাঁরা এই ছবিতে অভিনয় করেছেন, তাঁরাও যে তাঁদের অভিনয় ক্ষমতার জন্য জনপ্রিয়, এমন নন। তাই এই ছবিতে তাঁদের অভিনয় খুব একটা প্রশংসার যোগ্য নয়। জন আব্রাহাম ও অর্জুন কাপুর – দু’জনেই অ্যাকশন হিরো হিসেবে নাম করেছেন। তাঁদের মারপিটের দৃশ্যগুলো মন্দ লাগে না। ছবির মূল চার চরিত্রের মধ্যে একমাত্র অর্জুনের চরিত্রটিতে চার-আনা অভিনয়ের সুযোগ ছিল। তিনি সেটুকু মন দিয়ে করার চেষ্টা করেছেন। এর আগে কোনও ছবিতে জন আব্রাহামের মুখে এত কম সংলাপ শোনা গিয়েছে বলে মনে পড়ে না। দিশা পাটানি (রসিকা) ও তারা সুতারিয়া (আরভি) – এরা দু’জনেই মূল চরিত্র হলেও তাঁদের বিশেষ কিছু করার ছিল না।
ছবিতে বেশ কয়েকটি গান রয়েছে। কোনওটাই মনে রাখার মতো নয়। অ্যাকশন দৃশ্যগুলি বিকাশ শিবরমনের ক্যামেরায় ভালো ফুটেছে। ছবির শেষে পরিচালক এই ফ্র্যাঞ্চাইজির তৃতীয় ছবির সম্ভাবনার একটা আভাসও দিয়েছেন। উইকএন্ডের মাঝ-বিকেলের শো মোটামুটি হাউসফুল। দর্শক যে এই গল্পহীন ছবি একেবারে উপভোগ করছেন না, সেটাও জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না। তবে এই দিয়েই যদি দর্শক ও বক্সঅফিস— দুইয়ের মন জয় করা যায়, তাহলে আগামী দিনেও এইরকম ফাঁকিবাজি ছবির হাত থেকে নিস্তার মিলবে না।