পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কেন এমন বিষয় বেছে নিলেন শৈবালবাবু? পরিচালকের উত্তর, ‘ইনহেরিট দ্য উইন্ড বাইবেলের একটি উক্তি। যে মানুষ তার ঘর নষ্ট করে, সেই বাতাস তাকেও একটা সময় গ্রাস করে। আমি ভারতীয়। যে দেশে আমার পূর্বপুরুষের বাস, সেখানে এতদিন জীবনযাপন করার পর আজ হঠাৎ মনে হচ্ছে চেনা ভূমিটাই না বদলে যায়! এই দেখে মনে হল এমন একটা ছবি তৈরি করলে মন্দ হবে না।’ এই কোর্টরুম ড্রামা আরও উপভোগ্য হয়ে উঠেছে দেশের দুই কিংবদন্তি অভিনেতার দ্বৈরথে। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ও নাসিরুদ্দিন শাহ ছবিতে অবতীর্ণ হয়েছেন বাদী আর বিবাদী পক্ষের আইনজীবীর চরিত্রে। শৈবাল বললেন, ‘এটাও একটা ইতিহাস। পর্দায় সৌমিত্র-নাসিরুদ্দিন এই প্রথম ও শেষবার। আফশোস সৌমিত্রবাবু ছবির মুক্তিটা দেখে যেতে পারলেন না।’ প্রসঙ্গত ছবির ডাবিং শেষ করার কিছুদিন পরেই প্রয়াত হন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়।
ছবিতে হিল্লোলগঞ্জের চার্চের প্রধান পাদরির মেয়ে ও একইসঙ্গে প্রতিবাদী শিক্ষকের প্রেমিকা রেশমির চরিত্রে অভিনয় করেছেন অমৃতা চট্টোপাধ্যায়। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ঘরের মানুষ। কিন্তু নাসিরুদ্দিন শাহের সঙ্গে এক ফ্লোরে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর আগে পড়ে নিয়েছিলেন নাসিরুদ্দিনের অটোবায়োগ্রাফি। অভিনয়ের ধরন বোঝার জন্য দেখেছেন প্রচুর সিনেমা। ‘তারপরেও ভয় ছিল। কিন্তু ফ্লোরে গিয়ে দেখলাম মাটির মানুষ,’ এতদিন বাদেও রোমাঞ্চিত অমৃতা।