কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
নাট্যদলটি বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছে সত্যজিৎ সৃষ্ট ফেলুদা-সিগনেচার ব্যবহারের সম্মতি আদায় করে। ফলে মৌলিক আবহের (সিঞ্চন সরকার) সঙ্গে সেই অতি পরিচিত মিউজিকের মিশেল প্রেক্ষাগৃহে একটা চেনা পরিবেশ তৈরি করে। সেই আবহে ফেলুদা, তোপসে ও লালমোহনবাবুকে হাজির করে পরিচালক বাঙালির নস্টালজিয়াকে নাড়া দিয়েছেন। মঞ্চ সজ্জার বিন্যাসও চমকপ্রদ। সময়কে সেটের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ দক্ষতায় সেঁটে দিয়েছেন পরিচালক। অল্প আয়াসে রজনী সেন রোডের বৈঠকখানা বদলে গিয়েছে বোসপুকুরের আচার্য বাড়ির অন্দরমহলে। সেই দৃশ্যান্তরের সঙ্গে নাটকীয় পরিবেশকে আগলে রেখেছে অনবদ্য আলোর (মনোজ প্রসাদ) আঁকিবুকি।
আসা যাক অভিনয় প্রসঙ্গে। লেটার মার্কস নিয়ে ফেলু মিত্তিরের জুতোয় পা গলিয়েছেন অতনু গঙ্গোপাধ্যায়। হাঁটা, চলা, কথা বলা, তাকানো, সিগারেট ধরানো, খুনের কিনারা—সবেতেই সত্যজিতের বর্ণনাকে অনুসরণ করেছেন তিনি। কাউকে নকল করার চেষ্টা করেননি। তাই উচ্চতায় ‘৬ ফিট’ না হওয়ার খামতিটুকু অসাধারণ অভিনয় গুণে উতরে যান। সেইসঙ্গে নিপুণ সঙ্গত করেছেন ‘লালমোহন গাঙ্গুলি’ পরিতোষ ঘোষ ও ‘তোপসে’ সুদীপ পাল। নিজের শরীর ও বাচনভঙ্গিকে দক্ষতার সঙ্গে কাজে লাগিয়েছেন পরিতোষ। বয়সে, ব্যবহারে, বিচক্ষণতায় পারফেক্ট সুদীপও। ইন্দ্রনারায়ণ চরিত্রটির আত্মবিশ্বাস, আদর্শবোধ, কিছুটা আক্ষেপ ও কৃতকর্মের আত্মতৃপ্তি সাবলীলভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন সমরেশ সাহা। স্বল্প পরিসরে মার্জিত অভিনয়ে নজর কাড়েন কল্লোল ঘোষ (দেবনারায়ণ), মানিক পাল (প্রদ্যুম্ন)। এছাড়াও বাকিদের অভিনয় নাটকটিকে টানটান করে রাখে শেষ পর্যন্ত। এক ঘণ্টা কুড়ি মিনিটের বিরতিহীন নাটকটির গতি খুব দ্রুত। অনায়াসে প্রযোজনার সময়সীমা বাড়ানো যেতে পারে। শেষ লগ্নে স্ফুলিঙ্গের মতো একটি চমক ছুঁড়ে দিয়েছেন পরিচালক। কী সেটা, জানতে প্রযোজনাটি দেখতে হবে।