কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
নীতীশ তিওয়ারি ও অশ্বিনী আইয়ার তিওয়ারি যখন এই সিরিজের জন্য আপনাদের কাছে এসেছিলেন তখন কী মনে হয়েছিল?
মহেশ: আমি তো ওঁদের সব ছবিই দেখেছিলাম। পুরো জিনিসটা ওঁরা কীভাবে তৈরি করতে চাইছেন, সেটা জানার পর বুঝতে পেরেছিলাম ওঁরা আমাদের খেলার প্রতি সঠিক বিচার করতে পারবেন।
লিয়েন্ডার: সিনেমার জন্য আমার কাছে প্রচুর অফার ছিল। কিন্তু আমি সঠিক প্রজেক্টের অপেক্ষায় ছিলাম। বিগত ২১ মাস ধরে আমরা এই সিরিজটা নিয়ে কাজ করছি। আমাদের জার্নির সঙ্গে মানুষের কুড়ি বছরের আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। ওঁরা দু’জনেই অসাধারণ পরিচালক। তাই ওদের উপর আমার যথেষ্ট বিশ্বাস রয়েছে।
দীর্ঘদিন পর আবার আপনারা একসঙ্গে।
লিয়েন্ডার: আমাদের বন্ধুত্ব দীর্ঘদিনের। ওঁর মতো ছোট ভাই পাওয়া ভাগ্যের বিষয়। কত স্মৃতি। সিরিজটা দেখলে দর্শক আমাদের এই জার্নির পিছনে লুকিয়ে থাকা নানা ঘটনা জানতে পারবেন।
মহেশ: এই সিরিজের শ্যুটিংয়ের সময় আমাদের জার্নি নতুন করে উপভোগ করলাম। তথ্যচিত্রের জনপ্রিয়তা কম বলে অনেকেই আমাদের এই সিরিজে রাজি হতে বারণ করেছিলেন। কিন্তু আমরা টেনিসের মতোই এখানেও একটা নতুন ঘরানার সূত্রপাত ঘটাতে চেয়েছিলাম।
২০১১ সালে আপনাদের জুটির ভেঙে যাওয়াকে কীভাবে দেখেন?
মহেশ: এত বছরের একটা যাত্রাকে শেষ করাটা খুব কঠিন। বিশ্বাস করতে পারছিলাম না।
লিয়েন্ডার: হারি-জিতি, সবসময়েই মানুষ আমাদের সমর্থন করেছেন। কেউই থেমে যেতে চায় না। তাই আমাদের এই জার্নিকে আরও একবার ফিরে দেখতে চেয়েছিলাম।
আপনাদের পর টেনিসে নতুন প্রজন্মের কাদের মধ্যে নিজেদের ছায়া দেখতে পান?
মহেশ: তিন বছর বয়সে বাবা আমাকে টেনিসে ভর্তি করে দিয়েছিলেন। কোনও দিন ভাবিনি, এতটা পথ অতিক্রম করতে পারব। আমি আর লিয়েন্ডার নতুনদের জন্য পথ খুলে দিয়েছি। আশা করি, ভবিষ্যতে নতুনরা আমাদের জার্নি দেখে অনুপ্রাণিত হবে।
লিয়েন্ডার: আমার অভিভাবকরা আমার অনুপ্রেরণা। কেরিয়ারে অনেক ওঠা-পড়া দেখেছি। আজ নিজেকে ভাগ্যবান মনে হয়। দেশের খেলোয়াড়দের প্রচণ্ড সম্মান করি। আমাদের দেশে স্পনশরশিপ, পরিকাঠামোর অভাবের সঙ্গে লড়াই করে কারও আন্তর্জাতিক কেরিয়ার তৈরি করাটা কতটা কঠিন সেটা জানি আমি। লি-হেশ যদি সফল হতে পারে, আমার বিশ্বাস খেলার প্রতি প্যাশন আর আত্মবিশ্বাস থাকলে অন্যরাও সফল হবে।