সন্তানের সাফল্যে গর্ব বোধ। আর্থিক অগ্রগতি হবে। কর্মে বিনিয়োগ বৃদ্ধি। ঘাড়, মাথায় যন্ত্রণা বৃদ্ধিতে বিব্রত ... বিশদ
পুজোয় তো আপনার তিনটে ছবি মুক্তি পাচ্ছে। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি কী বুঝছেন?
(হেসে) তাই তো শুনছি। তবে আমি মনে করি, একসঙ্গে প্রচুর ছবি মুক্তি না পাওয়াই ভালো। কোভিডের জন্য গত বছর থেকে যা চলছে, তাতে এখনও জল কোনদিকে গড়াবে কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। পুজোর আগে ছবির প্রচারের চাপ থাকবে। সময়মতো সেগুলো শেষ করতে হবে।
তাহলে পুজোয় কোন ছবিটা আগে দেখবেন?
পুজোয় কলকাতায় থাকছি না। পরিবারের বাকিরা ঠাকুর ছেড়ে কোথাও যাবে না। তাই আমরা বন্ধুরা কয়েকজন উত্তরবঙ্গ বা শিলং যাওয়ার প্ল্যান করছি।
‘হবুচন্দ্র রাজা গবুচন্দ্র মন্ত্রী’ ছবির হাত ধরে এই প্রথম কোনও রূপকথা নির্ভর ছবিতে অভিনয় করলেন। অভিজ্ঞতা কীরকম?
ছন্দ মিলিয়ে যেভাবে চিত্রনাট্য লেখা হয়েছে, সেই ভাষায় তো আমরা কথা বলি না। তাই একদম অন্যরকমের অভিজ্ঞতা।
একই ধাঁচের চরিত্রের ভিড়ে হবুচন্দ্র চরিত্রটা কি নতুনত্ব এনে দিল?
আমি কিন্তু সবসময় বিভিন্ন ধরনের চরিত্রেই অভিনয় করতে চেষ্টা করেছি। এই ছবিটার জমকালো পোশাক, সেটের গ্র্যাঞ্জার সব মিলিয়ে ফ্লোরে ঢুকলেই আমার একটা অন্যরকমের শারীরিক ভাষা তৈরি হয়ে যেত। সেই ব্যাপারটা বেশ উপভোগ করেছি।
আমাদের দেশের শাসন ভার পেলে অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় প্রথমেই কী কী কাজ করতে চাইবেন?
(একটু ভেবে) আমাদের দেশের দুটো বড় সমস্যা— বিপুল জনসংখ্যা ও সকলের শিক্ষার অধিকার। তাই সুযোগ পেলে এই দুটো দিক নিয়ে কাজ করতে চাই।
করোনার জন্য গত বছর থেকে বাচ্চারা কার্যত গৃহবন্দি। সেখানে পুজোর সময় ওদের জন্য ছবি মুক্তি কি পরোক্ষে ইন্ডাস্ট্রির জন্য ভালো?
অবশ্যই। আসলে এই ছবিটা সকলের দেখার মতো ছবি। বাচ্চারা ভিজ্যুয়ালি ছবিটা উপভোগ করবে। শুনতে খারাপ লাগলেও আজকে ছোটরা অনেক বেশি হ্যারি পটারকে চেনে। বিদেশি গল্প তো অবশ্যই জানা উচিত, কিন্তু কখনই নিজেদের ঐতিহ্যকে বিসর্জন দিয়ে নয়। বাড়ির বড়দের এইটুকু দায়িত্ব তো নেওয়াই উচিত। এই ছবিটা দেখে অন্তত বাংলার রূপকথা কীরকম তা নিয়ে ওদের একটা ধারণা তৈরি হবে।
কিন্তু অনিকেত চট্টোপাধ্যায়ের ছবিতে রাজনৈতিক বার্তা ভরপুর। সেটা ছোটদের ক্ষেত্রে তো সমস্যাও তৈরি করতে পারে।
ওই যে বললাম, ছবিটা প্রত্যেকেই দেখতে পারে। যার যেটা বোঝার, সে সেটা ঠিক বুঝে যাবে। ছোটবেলায় ‘গুপী গাইন...’ বা ‘হীরক রাজার দেশে’ দেখার অভিজ্ঞতা একরকম ছিল। পরে যখন বড় বয়সে এই ছবিগুলো আবার দেখলাম, তখন অন্যভাবে আবিষ্কার করলাম। আসলে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে তো মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টায়।
কিন্তু ছোটদের ছবির উপর তো আজকাল প্রযোজকরা সেইভাবে বিনিয়োগ করতে চান না। কারণটা কী?
আমি ঠিক জানি না। আমাদের মাথাগুলোও সব প্যাঁচালো হয়ে গিয়েছে। মানুষ হাসতে ভুলে গিয়েছেন। তাই সহজ সরলভাবে মানুষকে হাসানোর জন্য কেউ কিছু ভাবতে পারছে না। এই ছবিটার রেসপন্স ভালো হলে হয়তো আগামী দিনে আরও অনেকে আগ্রহী হবেন। তার থেকেও বড় কথা—দর্শক। কারণ কী ধরনের ছবি তৈরি হবে, সেটা কিন্তু সবসময় দর্শকই ঠিক করে দেন। এখন যেরকম সব ওটিটিতে থ্রিলারের ভিড়। বলিউডে হরর কমেডি।
পুজোর আগেই শুনছি নতুন ছবির শ্যুটিং শুরু করবেন?
এরমধ্যেই শবরের নতুন ছবির শ্যুটিং শুরু হচ্ছে।
বলিউডেও তো আপনার কিছু ছবি মুক্তির অপেক্ষায়।
রাজকুমার সন্তোষীর ‘ব্যাড বয়’। অনুরাগের (কাশ্যপ) ‘দোবারা’ ওটিটিতে মুক্তি পাওয়ার কথা। পুজোর পর হয়তো ‘ধকড়’ এর ডাবিং সারতে আবার মুম্বই যেতে হবে।