কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
১৯৮০ সালে মালয়ালম ছবি দিয়ে সিনেমা জগতে পথচলা শুরু করেন প্রিয়দর্শন। দীর্ঘ চার দশকে অসংখ্য হিট ছবি উপহার দিয়েছেন তিনি। ২০০৫ সালে তাঁর পরিচালনায় সলমন অভিনয় করেছিলেন ‘কিঁউ কি’ ছবিতে। এর দু’বছর পর তাঁর পরিচালিত ‘বিল্লু’তে পাওয়া গিয়েছিল শাহরুখকে। আর অক্ষয়কুমারের সঙ্গে তো প্রিয়দর্শনের রসায়ন একেবারেই অন্যরকম। এই জুটির হিট ছবিগুলি হল— ‘হেরা ফেরি’, ‘গরম মশালা’, ‘ভুল ভুলাইয়া’।
একাধিক সুপারস্টারের সঙ্গে কাজ করা এই পরিচালক মনে করেন, বলিউডে এখন সুপারস্টার যুগের শেষ প্রহর চলছে। কারণ, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির ধ্যান ধারণায় অনেক বদল ঘটে গিয়েছে।
‘মুসকুরাহত’, ‘গর্দিশ’, ‘বীরাসত’-এর মতো সিরিয়াস ছবির পরিচালক প্রিয়দর্শনকে এক সময় শুধু কমেডি ছবি তৈরি করতে দেখা গিয়েছে— এর রহস্যটা কী? এ প্রসঙ্গে তিনি বললেন, ‘২০০০ সালে হেরা ফেরি তৈরি করার পর গোটা দেশজুড়ে ছবিটি সমাদৃত হয়। অক্ষয়কুমার, পরেশ রাওয়াল ও সুনীশ শেট্টির খুনসুটিতে মানুষের মন মজে যায়। হেরা ফেরির বিরাট সাফল্যের পর প্রযোজকরা আমাকে শুধুই কমেডি ছবি তৈরির অফার দিতে থাকেন। সেই সূত্রেই হাঙ্গামা, হালচাল, ভাগম ভাগ, মালামাল উইকলির মতো ছবিগুলি তৈরি হয়। এর মধ্যে আমি দু’-একটি অন্য ধরনের ছবি তৈরিও করি, কিন্তু সেভাবে সাফল্য পাইনি, যে সাফল্য তখন আমাকে কমেডি ছবিগুলি এনে দিয়েছিল। সেই সময় পরিচালক ডেভিড ধাওয়ানের একটা কথা সব সময় মনে রেখেছিলাম। তিনি বলেছিলেন, যে গাড়ি খুব ভালোভাবে চলছে, তার বনেট কখনও খুলবে না। তাই আমি কমেডি ছবি তৈরি বন্ধ করিনি।’
আজ, শুক্রবার মুক্তি পাচ্ছে এই পরিচালকের নতুন হাসির ছবি ‘হাঙ্গামা ২’। এটি ২০০৩ সালে প্রিয়দর্শন পরিচালিত ‘হাঙ্গামা’ ছবির সিক্যুয়েল। নতুন এই ছবিতে দেখা যাবে পরেশ রাওয়াল, শিল্পা শেট্টি, মিজান জাফরিকে।