বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
উত্তরবঙ্গে শ্যুট করছেন। ওখানে ‘উজান’ হিসেবে আপনাকে কতজন চিনতে পারল?
(হেসে) অনেকেই। কারণ ‘এখানে আকাশ নীল’ ধারাবাহিকটা খুবই জনপ্রিয় হয়েছিল। মানুষ আমাকে এখনও উজান হিসেবেই চেনেন।
এবারে ঋষিরাজ চরিত্রটা কি উজানকে ছাপিয়ে যেতে পারবে?
মনে তো হচ্ছে যে, এরপর থেকে দর্শক আমাকে ঋষিরাজ হিসেবেই মনে রাখবেন। চরিত্রটার মাধ্যমে মেগা সিরিয়ালে একটা নতুন আঙ্গিক নিয়ে আসার চেষ্টা করছি।
একটু বিশদে বলবেন প্লিজ।
আসলে এই ধারাবাহিকটাকে নির্মাতারা সিনেমার মতো করে শ্যুট করছেন। সবাই প্রচণ্ড পরিশ্রম করছেন। অন্যরকম ভালোবাসার গল্প। সঙ্গে মিরিক, দার্জিলিঙের মতো দারুণ সব জায়গায় শ্যুটিং হয়েছে। সব মিলিয়ে দর্শক বিষয়টা উপভোগ করবেন।
প্রোমো দেখে মনে হচ্ছে ঋষিরাজ তো হোটেল ব্যবসায়ী।
হ্যাঁ। নিজের পরিশ্রমে সবটা করেছে। পাশাপাশি ওর একটা ট্র্যাজিক অতীত রয়েছে। ছেলেবেলার হারিয়ে যাওয়া ভালোবাসাকে ফিরে পাওয়ার গল্প। এখন এর বেশি আর কিছু বলে দেওয়াটা ঠিক হবে না।
আপনার বিপরীতে সৃজলা গুহ তো নতুন মুখ। ওর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কীরকম?
ভালো লাগছে। আমরা ভালোভাবে কাজটা করতে চেষ্টা করছি। আশা করছি, আমাদের অন স্ক্রিন কেমিস্ট্রি দর্শকদের পছন্দ হবে।
ধারাবাহিকের প্রোমো তো অনেকদিন আগেই প্রকাশ্যে এসেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ফ্যানদের থেকে কীরকম প্রতিক্রিয়া পাচ্ছেন?
খুবই পজিটিভ। সবাই আমাদের জুটিকে দেখার জন্য আগ্রহী। দর্শকদের থেকে এরকম প্রতিক্রিয়া সবসময়েই আরও ভালো কাজ করার জন্য অনুপ্রেরণা জোগায়।
ওটিটিতে শেষ কী দেখলেন?
সত্যজিৎ রায়ের ছোটগল্পের উপর নির্ভর করে তৈরি অ্যান্থলজি সিরিজটা দেখলাম। সৃজিতদার (মুখোপাধ্যায়) পরিচালনায় প্রথম গল্পটা তো খুবই ভালো লেগেছে।
আপনি এই প্রজন্মের অভিনেতা। প্রথম সারির ওটিটি প্ল্যাটফর্মের কনটেন্ট দেখছেন। বাংলা ছোটপর্দায় কী ধরনের কনটেন্টের অভাব রয়েছে বলে মনে হচ্ছে?
আপনি কী বলতে চাইছেন বুঝতে পারছি। উত্তরটা আমি একটু অন্যভাবে দিতে চাই। ধারাবাহিকের ক্ষেত্রে সবকিছু তো চাইলেও আমরা দেখাতে পারব না। আর দেখালেও সেটা দর্শকের কাছে গ্রহণযোগ্য নাও হতে পারে। টিভিতে ‘ভূমিকন্যা’ তো খুবই এক্সপেরিমেন্টাল একটা প্রজেক্ট ছিল। আমার ভালো লেগেছিল। কিন্তু দর্শকরা হয়তো সেইভাবে পছন্দ করেননি। তাই দর্শকদের কথা মাথায় রেখেই ধারাবাহিকের কনটেন্ট তৈরি করতে হয়।
কিন্তু দর্শক বা টিআরপির কথা ভেবে অনেক সময় তো গল্পের গোরু গাছেও ওঠে! এই টিআরপি এবং গল্পের গুণগত মানের মধ্যে লড়াইটা একজন অভিনেতা হিসেবে আপনাকে কতটা ভাবায়?
দেখুন, কোনও চরিত্রে অভিনয় করতে গিয়ে হতেই পারে যেটা করতে বলা হল, তা সেই চরিত্রটার গ্রাফের বাইরে। আমি কিন্তু অভিনেতা হিসেবে ওই উপাদানগুলোকে নিয়েই সেটাকে চরিত্রটার সঙ্গে যতটা সম্ভব বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার চেষ্টা করি।
নিজের সিরিয়াল দেখার সময় পান?
অবশ্যই। ভালো করছি না খারাপ, সেটা জানতে হলে তো ধারাবাহিক দেখতেই হবে। তারপর দর্শকদের মতামত মেনে সেইমতো অভিনয়কে ঘষামাজা করে নেওয়ায় আমি বিশ্বাসী।
বিগত মাসগুলোতে ধারাবাহিক ছাড়া অন্য অফার ছিল না?
সিনেমা ও ওটিটি থেকে বেশ কিছু অফার এসেছিল। কিন্তু ধারাবাহিক করব বলেই রাজি হয়নি।
কোনও বিশেষ কারণ ছিল কি?
আসলে করোনা পরিস্থিতিতে ইন্ডাস্ট্রি খুবই কঠিন একটা সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। একাধিক ছবি আটকে রয়েছে। বাজারের অবস্থা খারাপ। তাই সেখানে দাঁড়িয়ে আবার ধারাবাহিক করছি বলে যে ভুল সিদ্ধান্ত নিলাম, আমি অন্তত সেটা মনে করি না।
ধারাবাহিক থেকেই কিন্তু যশ দাশগুপ্ত আজকে বড়পর্দায়। আপনার কি মনে হয় না যে, লাইমলাইটে থাকতে থাকতেই বড়পর্দায় পা রাখার এটাই সঠিক সময়?
অবশ্যই ছবিতে অভিনয় করতে চাই। আমাকে অনেকেই বলেছেন যে, এখন আমার মেগার পরিবর্তে ছবি বা ওয়েব সিরিজে অভিনয় করা উচিত। কিন্তু আমার মনে হয় সব জিনিসের একটা নির্দিষ্ট সময় থাকে। সঠিক সময় ভালো অফার পেলে নিশ্চয়ই বড়পর্দায় পা রাখব।