কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
গত মঙ্গলবার যাদবপুরে একটি সভা থেকে টলিউডের একাধিক শিল্পী বামপন্থায় আস্থা রাখার বার্তা দিলেন। এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন তরুণ মজুমদার, কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, সব্যসাচী চক্রবর্তী, শ্রীলেখা মিত্র, রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায়, বাদশা মৈত্র, অনীক দত্ত, সৌরভ পালোধী, মানসী সিংহ, চন্দন সেন, জয়রাজ ভট্টাচার্য, অর্ক মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। শ্রীলেখা বলছেন, ‘এই দলবদলের রাজনীতির কারণ মানুষের কাছে পরিষ্কার। এসবের মূল কারণ প্রলোভন কিংবা ভয়। এই বিষয়টার পরিবর্তন চাই বলে এখনও মাটি আঁকড়ে পড়ে রয়েছি। ওই সমস্ত অভিনেতাদের কখনও কোনও কাজে পাওয়া যায়নি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস এই পরিস্থিতির বদল বামেরাই আনতে পারবে।’ বাম রাজনীতিতে পরিচিত মুখ পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, ‘আমি কলেজ জীবন থেকেই বামপন্থী। বামেরা কোনও ভোট না পেলেও আমি বামই থাকব। এইসব দলবদল কতটা মতাদর্শের জন্য আর কতটা ব্যক্তিগত উচ্চাকাঙ্খার জন্য তা নিয়ে আমার সন্দেহ রয়েছে।’ সকলকেই রবিবার ব্রিগেডের ময়দানে দেখা যাবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। নাট্যকার-অভিনেতা জয়রাজ ভট্টাচার্য ব্রিগেড সমাবেশের প্রচারে একটি গান লিখেছেন, সেটি গেয়েছেন অর্ক। সেই গানের সঙ্গে কোরিওগ্রাফির মাধ্যমে শহরের বিভিন্ন অংশে ফ্ল্যাশ মব অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাঁর কথায়,‘এখন লড়াইটা দক্ষিণপন্থা বনাম বামপন্থার। ভোটের লড়াইটা একমাত্র নয়। তবে অন্যতম একটি লড়াই। কিছু পাওয়ার স্বার্থে ক্ষমতাবানদের পাশে থাকা আলাদা বিষয়। সত্যিই যদি কারও রাজনৈতিক মতাদর্শ থাকে, তাহলে কঠিন সময় যে সঙ্কটে রয়েছে তার পাশে দাঁড়ানো দরকার।’
এতদিন বামেদের প্রচারে তাদের গণসংগঠনের শিল্পীদের বেশি দেখা গিয়েছে। কিন্তু এবার স্বাধীন শিল্পীদের একেবারে পুরোভাগে নিয়ে আসা কি বামেদের নতুন পন্থা? সিপিএমের তরুণ নেতা সৃজন ভট্টাচার্য বলছেন, ‘এই শিল্পীরা দীর্ঘদিন ধরেই বামেদের পাশে রয়েছেন। ভোটের আগে শিল্পীদের নিয়ে এসে আমরা চমক দিচ্ছি না। এসব তৃণমূল-বিজেপি করে। এটা সংবেদনশীল মানুষের প্রশ্ন। করোনার মধ্যে বামেদের কাজকর্ম দেখেছেন মানুষ। বিভিন্ন শিল্পী-বুদ্ধিজীবীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে আমাদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। নিশ্চিতভাবেই আমরা সৌভাগ্যবান।’ ‘টুম্পা’ গান থেকে শুরু করে ফ্ল্যাশ মব, শিল্পীদের সামনে রেখে বামেরা কতটা এগতে পারে, এখন সেটাই দেখার।