বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পরিচালকের এই ছবি কী টাইপের, তা ভাবতে প্রথমার্ধে বেশ বেগ পেতে হবে দর্শককে। একবার মনে হবে ম্যাজিক সংক্রান্ত। পরক্ষণেই মনে হবে সিরিয়াল কিলিং বা সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার এই ছবির প্লট। চিত্রনাট্যে রয়েছে সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার ছায়া। নিপুণ হাতে সবকিছু সামলেছেন পরিচালক। বাংলা ছবির মান অনুসারে গ্রাফিক্সও বেশ ভালো। ছবি দেখে অনেকেই একবাক্যে স্বীকার করবেন অঙ্কুশ তাঁর সেরাটাই দিয়েছেন। বিভিন্ন দৃশ্যে তাঁর অভিব্যক্তি চমৎকার। ঐন্দ্রিলার অভিনয়ও মন্দ নয়। তবে, ছবিতে কৃতীর পরিবার সম্পর্কে আর একটু বিশদে দেখানো উচিত ছিল। এই ধরনের ছবিতে জোর করে নাচ-গান ঢুকিয়ে দেওয়ার যুক্তি স্পষ্ট নয়। মনোরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে দারুণ মানিয়েছে পায়েল সরকারকে। চিত্রনাট্যে তাঁরও আর একটু বেশি জায়গা প্রাপ্য ছিল। ইন্দ্রের বাবার চরিত্রে দেবশঙ্কর হালদার ও অসুস্থ মায়ের চরিত্রে বিদীপ্তা চক্রবর্তী পারফেক্ট। ছবির নাম ম্যাজিক। তাই প্রতিটি সিনেই চমকের অপেক্ষা। কিন্তু জানবেন সবার জীবনে ম্যাজিক একজনই করে। তারজন্যই নিমেষে আমরা হাতের সামনে সমস্ত আবদারের জিনিস পেয়ে যাই। মাথার উপর ছাদ পাই। চার বেলা মনপসন্দ জিনিস গ্রোগ্রাসে খেতে পারি। সেই ম্যাজিশিয়ানকে আমরা ‘বাবা’-বলে ডাকি। যা রাজা চন্দের এই ছবি দেখে প্রতিটি দর্শক একবাক্যে স্বীকার করবেন থুড়ি অনুভব করবেন।