পিতার স্বাস্থ্যহানি হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন-পাঠনে পরিশ্রমী হলে সফলতা ... বিশদ
নিউইয়ার তো প্রতি বছরই সেলিব্রেট করেন। এবারের সেলিব্রেশন তো জটায়ুর ভাষায় ‘হাইলি সাসপিশাস’!
হ্যাঁ, বলতে পারেন।
সংবাদমাধ্যমে যশ-নুসরত এখন প্রায় হটকেক। শহরে ফিরে এসে এইসব দেখে প্রথম কী মনে হয়েছিল?
খুব হেসেছিলাম। আসলে যে ইন্ডাস্ট্রিতে রয়েছি, সেখানে এরকম খবরে আমরা অভ্যস্ত। সেলিব্রিটি মানেই তো সফট টার্গেট। আমরা খারাপ বা ভালো যে কাজটাই করি না কেন, তা নিয়ে সাধারণ মানুষ কথা বলতে বা সমালোচনা করতে পছন্দ করেন।
বলতেই হচ্ছে আপনার মনের জোর এখনও অটুট।
অবশ্যই। এই ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকতে গেলে নার্ভ স্ট্রং রাখতেই হবে।
আচ্ছা হঠাৎ করে রাজস্থান ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করলেন কেন?
আসলে গত বছরই আমার যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেবারে পারিনি বলে এবারে গিয়েছিলাম।
নুসরত আপনার সঙ্গে গিয়েছিলেন?
দেখুন, আমি আমার কথা বলতে পারি। অন্য কারও বিষয়ে কথা বলতে চাই না। ব্যক্তিগত জীবন আমি ‘ব্যক্তিগত’ রাখতেই পছন্দ করি।
কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনাদের একসঙ্গে ছবি তো অন্য কথা বলছে।
ছবিগুলো আমিও দেখেছি। এই নিয়ে এখনই আর কিছু বলব না।
শুনছি, গত ২৫ ডিসেম্বর থেকে নববর্ষ পর্যন্ত আপনি রাজস্থানে ছিলেন।
এটুকু বলতে পারি, নববর্ষের সময় আমি রাজস্থানে ছিলাম। ৫ তারিখে কলকাতায় ফিরেছি।
এসব খবর দেখে নুসরত কি মনের দিকে থেকে ভেঙে পড়েছেন?
আমি, দেব, মিমি বা নুসরত— যাঁরা ইন্ডাস্ট্রিতে রয়েছি, তাঁরা এরকম ঘটনা দেখে অভ্যস্ত। তাই নুসরত মনের দিক থেকে ভেঙে পড়বে বলে মনে হয় না। খবরে যা লেখা হচ্ছে তা দেখে আমরাও হাসছি। কারণ সব তথ্যগুলো তো ঠিক নয়। ভালো চিত্রনাট্যের মতো এগুলো সাজিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় যশ-নুসরত ফ্যান ক্লাবে আপনাদের ঘুরতে যাওয়ার ছবিগুলোয় লাইকের বন্যা। অথচ নুসরত বা নিখিলের ফ্যানক্লাবের তরফে আপনাকে নিয়ে কটূক্তির শেষ নেই। কী বলবেন?
আমি দেখেছি। যাঁরা লিখেছে বেশিরভাগই ফেক প্রোফাইল। তাদের কী পরিচিতি আমি জানি না। সোশ্যাল মিডিয়ায় লুকিয়ে মন্তব্য করা তো কাপুরুষের পরিচয়। ক্ষমতা থাকলে সামনে এসে বলুক। আসলে প্রত্যেকের নিজের গল্পে সে নিজে নায়ক হয়, আর অন্যপক্ষ ভিলেন। পার্থক্যটা দৃষ্টিভঙ্গিতে। অন্যের লেখা গল্পে ভিলেন হতে আমার আপত্তি নেই।
এরকমও শোনা যাচ্ছে যে, নুসরতের রাজনৈতিক ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্যই ভোটের আগে এরকম একটা ঘটনা বেশি ফলাও করে প্রচার করা হচ্ছে।
আমি রাজনীতির মানুষ নই। আমার বন্ধু দেব-মিমি-নুরসত সাংসদ। তাই এটা কোনও বিরোধী পক্ষ করছে কি না তা নিয়ে কিছু বলতে পারব না। ইন্ডাস্ট্রির রাজনীতি জানি। তাই সেটা নিয়ে কথা বলতে পারি।
বেশ, ভালো কথা। তাহলে কি আপনার বা নুসরতের ক্ষতি করার জন্য ইন্ডাস্ট্রির কোনও গোপন শত্রু এটা করছে?
আমার সেটা মনে হয় না। ছবি মুক্তির সময় একটু আধটু ছোটখাট বিবাদ দু’পক্ষের হতেই পারে। তবে আমার দৃঢ় বিশ্বাস, ইন্ডাস্ট্রির কেউ তাদের সহকর্মীদের নিয়ে এরকম সস্তা প্রচার অন্তত করবে না।
তার মানে বলতে চাইছেন বিপদে ইন্ডাস্ট্রির সদস্যদের পাশে ইন্ডাস্ট্রির মানুষই দাঁড়ায়?
অবশ্যই।
এই ‘বিতর্ক’ কি আপনার ও নুসরতের ‘বন্ধুত্বে’ কোনও প্রভাব ফেলতে পারে?
আজ পর্যন্ত আমি ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলিনি। আমাকে নিয়ে জলঘোলা হচ্ছে বলে আজ মুখ খুলতে বাধ্য হচ্ছি। আমার সঙ্গে নুসরতের কীরকম সম্পর্ক থাকবে সেটা তো আমাদের ব্যক্তিগত বিষয়। তাই প্রভাব পড়বে বলে আমার মনে হয় না।
আপনার পরিবার কী বলছে?
ওরাও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনেক পরিণত হয়েছে। এটা জানে যে, আমাকে নিয়ে ভালো খবরও যেমন বেরবে, তেমনই কখনও উল্টো খবরও বেরবে। খবরটা দেখে সেদিন হাসতে হাসতেই মা-বাবা বলছিলেন, ‘এই দেখ তোকে নিয়ে কাগজে কী সব বেরিয়েছে!’
শুক্রবার নুসরতের জন্মদিন। শুভেচ্ছা জানাবেন না?
কেন জানাব না! অবশ্যই জানাব (হাসি)।
কীভাবে ওঁর জন্মদিন সেলিব্রেট করবেন?
আবার এমন একটা প্রশ্ন করলেন যার উত্তর এখন না হয় নাই দিলাম। এটাও ব্যক্তিগত, নট ওপেন ফর পাবলিক কনসাম্পশন!