বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
ছবিতে কলকাতা ময়দানের গল্প রয়েছে। এক ট্যাক্সি ড্রাইভারের গল্প রয়েছে। এক তরুণী সাংবাদিকের গল্পও রয়েছে। এসবের মাঝখানে আন্তর্জাতিক ড্রাগ চক্রের বিষয়টিও উঁকি দিয়েছে। পেটের দায়ে সুদূর সেনেগাল থেকে কলকাতায় ড্রাগ পাচার করতে আসে খেলেছি। বিমানবন্দর থেকে একটি ট্যাক্সিতে উঠে ‘পিকে’র খোঁজ করা শুরু করে সে। সেই ট্যাক্সি ড্রাইভার (পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়) ভাষাগত সমস্যার জন্য খেলেছিকে নিয়ে অন্য জায়গায় চলে যায়। পরিস্থিতি জটিল হতে থাকে। সেই ড্রাইভার আদপে সহৃদয় ব্যক্তি। খেলেছির ভালো করতে গিয়ে নানাধরনের কাজকর্ম করতে থাকে। দেখা হয়ে যায় এক সাংবাদিকের (ঋতাভরী চক্রবর্তী) সঙ্গে। সবুজ মাঠে এভাবেই গড়াতে থাকে বল।
কেন যে গোটা ছবিতে পরমব্রত মাঝে মধ্যেই মুখে কালো কালি মেখে নিচ্ছিলেন, বোঝা গেল না। ট্যাক্সি ড্রাইভার হলে কি কারওর গায়ের রং শ্যামলা হতে হবে? অনেক ঘটনার ঘনঘটায় গোটা ছবিটা কেমন যেন দিকভ্রষ্ট হয়ে পড়েছে। ময়দানে ডার্বির পরিবেশ ভালোই ফুটিয়ে তুলতে পেরেছেন পরিচালক। বেশ অনেকদিন খেলা দেখা হয়নি। এমন সময়, কিছুক্ষণের জন্য ইস্ট-মোহন ম্যাচের উত্তেজনা স্ক্রিনে দেখতে বেশ ভালোই লেগেছে। শেষ পাতে বাঙালির নস্ট্যালজিয়াকে কাজে লাগাতে পেরেছেন পরিচালক। তার উপর আবেগ রয়েছে। পরিচালক আবার খেলেছি এবং সাংবাদিকের মধ্যে প্রেমও গুঁজে দিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু ঠিক প্রতিষ্ঠা করতে পারেননি। ছবিটিতে অভিনয় করেছেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, খরাজ মুখোপাধ্যায়, পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়, কাঞ্চন মল্লিকের মতো একাধিক শক্তিশালী শিল্পী। কিন্তু তাঁদের কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছেন পরিচালক। সব মিলিয়ে ছোট ছোট পাস খেলে দৃষ্টিনন্দন স্প্যানিশ ফুটবল উপহার দেওয়ার চেষ্টা করেছেন পরিচালক। কিন্তু ফুটবলে আসল হল গোল। তবে খেলা দৃষ্টিনন্দন হলেও তেকাঠির মধ্যে বল রাখতে না পারলে আর কী লাভ!