বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
সহজভাবে বলতে গেলে, এই ধরনের গল্প বলিউড আগেও দেখেছে। ‘দিল্লি বেলি’ বা ‘মালামাল উইকলি’র মতো বেশকিছু সুপারহিট ছবির কথা এখনও সকলে মনে রেখেছে। তাই পরিচালক রাজেশ কৃষ্ণণের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল দর্শককে নতুন কিছু উপহার দেওয়া। কিন্তু এরকম গল্পকে এগিয়ে নিয়ে যেতে যে গতি বা সংলাপের প্রয়োজন তা ছবিতে অনুপস্থিত। তাই ‘লুটকেস’ মুম্বই আন্ডারওয়ার্ল্ডের প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত সাধারণ মানের কমেডি ছবি হয়েই রয়ে যায়। কুণাল খেমু মন্দ নন। তাঁর স্ত্রী লতার চরিত্রে রসিকা দুগ্গলের অভিনয় ভালো লাগে। মধ্যবিত্ত অভাব অনটনের সংসারে দু’জনের সংলাপ কিছু ভালো মুহূর্ত তৈরি করেছে। ছবিতে ক্ষমতাশালী এমএলএ পাটিলের চরিত্রে গজরাজ রাও বেশ স্মার্ট। পুলিস অফিসার কোল্টের ভূমিকায় রণবীর শোরে যথাযথ। তবে, শেষপর্যন্ত দর্শকদের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন বিজয় রাজ। ‘ন্যাট জিও’ ভক্ত গ্যাংস্টার বালা রাঠোরের চরিত্রে তিনি প্রত্যাশা পূরণ করেছেন। ছবির গানগুলো না থাকলেই ভালো হতো।
আসলে এত ভালো স্টারকাস্ট থাকা স্বত্ত্বেও চিত্রনাট্য ‘লুটকেস’ এর সাফল্যের পথে বাধা সৃষ্টি করেছে। পরিচালক ও ছবির সহ-চিত্রনাট্যকার কপিল সাওয়ান্ত চরিত্রগুলোকে আর একটু মনোযোগ দিয়ে তৈরি করতে পারতেন। সেই সঙ্গে চিত্রনাট্যে মজাদার সংলাপের বড়ই অভাব। ছবির পরিণতিও সেই চেনা ফর্মুলা মেনেই। ফলে একটা সময়ে ছবিটা দর্শককে ঘড়ি দেখতে বাধ্য করে। ‘লুটকেস’ খুব ভালো ব্ল্যাক কমেডি হতে পারত। কিন্তু দুঃখের বিষয় শেষপর্যন্ত তা সাধারণ মানের কমেডি ছবি হয়েই রয়ে গেল। তাই ওটিটি প্ল্যাটফর্মে দর্শক পেলেও, এই ছবি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেলে দর্শক ধরে রাখতে পারত কিনা সন্দেহ রয়েই যায়।