বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বাবা বিখ্যাত ক্রিকেটার মনসুর আলি খান পতৌদি। মা বিখ্যাত অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর। এমন বাবা-মায়ের ছেলে হয়েও নাকি তাঁকে স্বজনপোষণের ফলে হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে! এই কথা শুনে নেটিজেনরা কটাক্ষের হাসি আর ধরে রাখতে পারছেন না। মিম তৈরি হয়েছে। সেখানে নেপোটিজম বলছে, ‘এইসব শুনে তো নিজের আত্মবিশ্বাস কমে যাচ্ছে।’ কিন্তু আবার অনেকেই সইফকে ট্রোল না করার পক্ষেও মত দিয়েছেন।
ঠিক কী বলেছেন সইফ? ‘নেপোটিজমের শিকার আমিও হয়েছি। সেই বিষয়ে কারওর আগ্রহ নেই। ব্যবসা এইভাবেই হয়। আমি নাম করতে চাই না। একজনের বাবা হঠাৎ করে এসে বলেছিলেন, একে নেবেন না, ওকে কাজে নিন। এটা আমার সঙ্গেই হয়েছে।’ এই মুহূর্তে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে কাজ শিখে ইন্ডাস্ট্রিতে অভিনয় করতে আসছেন অনেকে। এই বিষয়ে বলতে গিয়ে পঙ্কজ ত্রিপাঠী, নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির নাম করে সইফ সেই সব অভিনেতাদের প্রশংসা করেছেন, যাঁরা অভিনয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ইন্ডাস্ট্রিতে এসে জনপ্রিয়তা অর্জন করছেন। তবে প্রতিভা ছাড়া পরিবার দেখে কাজ পাইয়ে দেওয়ার রীতিকে মোটেই পছন্দ করেন না সইফ। তিনি বলেছেন, ‘নেপোটিজমের নোংরা দিক হল, কারও প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও তাঁর চেয়ে কম প্রতিভাবান মানুষ বাপ-দাদার দৌলতে কাজটা পেয়ে যান। এটা মাঝেমধ্যেই ঘটে থাকে।’ তবে, ধীরে ধীরে স্বজনপোষণ বিষয়টিতে রাশ টানা সম্ভব হবে বলেও বিশ্বাস করেন শর্মিলা-পুত্র।
অবশ্য, এই বিতর্কের মধ্যে প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতকে আর নতুন করে নিয়ে আসতে চাননি সইফ। প্রসঙ্গত সুশান্তের শেষ ছবি ‘দিল বেচারা’তে একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন সইফ।