পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
ঘটনা ১: কলকাতা, মা ফ্লাইওভার।
মা ফ্লাইওভার। হু হু করে বেড়িয়ে যাচ্ছে সার সার গাড়ি। হঠাৎ একটি বাইক দুর্ঘটনার কবলে পড়ল। বাইক থেকে রাস্তায় ছিটকে পড়লেন এক তরুণী। জ্ঞানহীন ওই তরুণীর হৃদস্পন্দনও মিলছিল না। ওই রাস্তা দিয়েই সল্টলেকের দিকে যাচ্ছিলেন ডাঃ কাঞ্চন মুখোপাধ্যায়। ভিড় দেখে, এগিয়ে আসেন তিনি। অবস্থা বুঝে কালবিলম্ব না করে তরুণীকে কার্ডিওপালমোনারি রিসাসিটেশন (সিপিআর) দিতে শুরু করেন। কর্মক্ষেত্রে যাচ্ছিলেন আরও এক চিকিৎসক অ্যানাস্থেটিস্ট ডাঃ অশোক বর্মা। তিনিও অংশ নেন সিপিআর-এ। মিনিট দশেক হৃদস্পন্দন বন্ধ থাকার পর দুই চিকিৎসকের মিলিতে চেষ্টায় সাড়া দেন তরুণী। তরুণীকে নিয়ে হাসপাতালে দৌড়ন দুই চিকিৎসক। জানা যায়, মস্তিষ্কেও রয়েছে চোট। সেদিন রাতেই এক হাসপাতালে সার্জারি হয় তরুণীর। ঠিক সময়ে সিপিআর না দিলে ওই তরুণীর প্রাণ বাঁচত না।
ঘটনা ২। গুজরাত, আহমেদাবাদ বিমানবন্দর।
গুজরাতের আহমেদাবাদ থেকে মুম্বই আসছিলেন এক ব্যক্তি। সিকিউরিটি চেক চলাকালীন হঠাৎ বুকে ব্যথা। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ওই ব্যক্তি। খবর যায় সিআইএসএফ-এর এক সাব ইন্সপেক্টরের কাছে। মিনিট পাঁচেকেরও বেশি সিপিআর-এ চোখ মেলেন ওই ব্যক্তি। সে যাত্রায় প্রাণ ফিরে পান ওই ব্যক্তি। পরে সেই রোগী জানান, ‘মনে হচ্ছে, এক জন্মে দু’বার জীবন পেলাম।’
ঘটনা ৩। মুর্শিদাবাদ, বহরমপুর।
বছর দুই আগের এক জুন মাস। সকাল থেকেই চেম্বারে রোগী দেখতে ব্যস্ত জেনারেল ফিজিশিয়ান ডাঃ চন্দ্রকান্ত সরকার। হঠাৎ শোরগোল। বাইরে টোটো থেকে নামানো হচ্ছে এক রোগীকে। কুলকুল করে ঘামছিলেন ও বুকে ব্যথা বোধ করছিলেন বলে পরিজনেরা ওই ব্যক্তিকে তড়িঘড়ি চিকিৎসকের কাছে আনতে উদ্যত হন। টোটোতে উঠেই বুকে হাত চেপে নেতিয়ে যান তিনি। সেই অবস্থাতেই চিকিৎসকের কাছে আনা হয় তাকে। ততক্ষণে রোগীর নাকের নীচে হাত দিয়ে তাঁরা বুঝেছেন শ্বাস পড়ছে না। বর্ণনা শুনেই ছুটে ঘটনাস্থলে যান ডাঃ সরকার। টোটোয় আধশোয়া রোগীকে পরীক্ষা করেই বোঝেন, পালস নেই। স্টেথো কানেও হৃদস্পন্দন শুনতে পেলেন না। তবু রাস্তার একপাশে রোগীকে শুইয়ে সিপিআর দিতে শুরু করেন। কিছুক্ষণ পরে চোখের পাতা নড়ে ওঠে রোগীর। সঙ্গে সঙ্গে নিজের গাড়িতে বসিয়ে রোগীকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যান ওই চিকিৎসক। সেখানে বাইপাস হয় সেই রোগীর।