বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
রোগের নামটি বেশ কঠিন। অ্যাকানথোসিস নাইগ্রিকানস। চেনা বৃত্তে দেখতেও পাওয়া যায়। এটি ত্বকের একটি রোগ। ক্ষেত্রবিশেষে ক্যান্সারের লক্ষণও বটে। কিছু ক্ষেত্রে বিনাইন, কয়েকটি ক্ষেত্রে ম্যালিগন্যান্ট। এই রোগে ত্বকের উপর ভেলভেটের মতো কালো আস্তরণ পড়ে যায়। আক্রান্ত জায়গার ত্বক দেহের অন্য অঙ্গের তুলনায় বেশ পুরু হয়। ঘাড়, গ্রয়েন, ব্রেস্টের নীচের ভাগে ও বগলের নীচে সাধারণত এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। এই রোগ বংশানুক্রমিকভাবেও হতে পারে।
মেলানিন দায়ী নয় : অনেকেই মনে করেন, ত্বকে কালো আস্তরণ পড়ার উৎস মেলানিন। এই রোগের ক্ষেত্রে তা একেবারেই ঠিক নয়। বরং এক্ষেত্রে এপিডার্মিস কয়েক গুণ বেশি পুরু হয়ে যায়। তাই ত্বকে কালো আস্তরণ পড়ে।
রোগের প্রকারভেদ : ১) বংশানুক্রিমক কারণে ত্বকে এই সমস্যা তৈরি হতে পারে।
২) অস্বাভাবিক বেশি ওজনের ব্যক্তির ত্বকে এই সমস্যা তৈরি হয়। স্থূলকায় ব্যক্তিদের সাধারণত ঘাড়ের দু’দিকে বা এক দিকের বগলের নীচে এটি হতে পারে।
ক্যান্সারের লক্ষণ : কিডনি, ইউরিনারি ব্লাডার, বাইলডাক্ট, থাইরয়েড, ইসোফেগাস, ব্রঙ্কাস ও রেকটাম ক্যান্সারের একটি লক্ষণ হল এই রোগ। তবে এটি হলেই যে তার ক্যান্সার হয়েছে এমনটা ধরে নেওয়ার কোনও কারণ নেই। আক্রান্ত ব্যক্তির ম্যালিগন্যান্সি তৈরি হলে, হাতের তালুতেও কালো ছোপ তৈরি হয়। যাকে বলা হয় ‘ট্রিপ পাম’। সেক্ষেত্রে এটি খুব দ্রুত ছড়ায় এবং শরীরের ভাঁজে আবদ্ধ থাকে না। সারা শরীর জুড়েই হতে থাকে।
চিকিৎসা
বিভিন্ন ময়শ্চারাইজার দেওয়া হয়।
অনেকেই ডিমেলানাইজিং ক্রিম ব্যবহার করেন। তাতে রোগমুক্তি ঘটবে না। কারণ মেলানিনজনিত কারণে এটি হয় না।
কোনও কোনও রোগীর ইনসুলিন রিসেপটর টেস্ট করা হয়। কারণ এদের ডায়াবিটিস হওয়ার আশঙ্কা বেশি। তাঁদের জন্য ডায়াবিটিসের ওষুধ দেওয়া হয়, যা এই রোগের ক্ষেত্রে বেশ ভালো কাজ দেয়।
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা : রোগের কারণ, লক্ষণ, মায়াজম মিলিয়ে চিকিৎসা করলে সুফল পাওয়া যায়। আর্স আয়োড ২০০, বেসিলিনাম ২০০, টিউবারকুলিনাম, আর্সেনিকাম অ্যালবাম ইত্যাদি ওষুধ এই অসুখে ভালো কাজ দেয়।