পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
ছোলার ছাতু: সকালের জলখাবার থেকে বিকেলের টিফিন বা ক্লান্তি বোধ কাটাতে ছোলার ছাতুর ঘোল অনবদ্য। এটি সত্বর শক্তি ও স্ফূর্তি প্রদানের পাশাপাশি কান্তি দূর করে এবং বারবার খিদে পাওয়ার সমস্যা থেকে রেহাই দেয়। ঘোলটি সুস্বাদু করতে প্রয়োজনমতো সৈন্ধব লবণ ও এক চিমটে গোলমরিচ গুঁড়ো মিশিয়ে নিতে পারেন।
সুগারের রোগীর মূত্রজ বিকারে: সুগারের রোগীদের যেখানে মূত্রত্যাগে জ্বালাভাব বা মূত্রের সঙ্গে শুক্র নির্গমনের সমস্যা থাকলে নিয়মিত ছোলা ভেজানো জল বা ছোলা সেদ্ধ যূষ সেবনে সমস্যা দূরীভূত হয়। এটি শিবকালী ভট্টাচার্যের মুষ্টিযোগ।
বাহ্যিক প্রয়োগ: প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে নির্ভেজাল বাথ পাউডার বানাতে ছোলা এক অন্যতম উপাদান। শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলের ত্বকের যত্নে ছোলার বেসন মুলতানি মাটির সঙ্গে সমপরিমাণে মিশিয়ে সাবানের পরিবর্তে ব্যবহারের চল রয়েছে। এতে ত্বক উজ্জ্বল ও লাবণ্যযুক্ত হয়।
নিষেধ: যাঁরা প্রায়ই হজমের সমস্যায় ভোগেন বা একটু খাওয়াদাওয়া অনিয়ম হলেই যাঁদের অম্ল উদগার দেখা দেয়, সেক্ষেত্রে ছোলা সেবন একেবারেই বর্জনীয়।
বাদাম: ভাষাভেদে বাদাম বিভিন্ন নামে পরিচিত। যেমন বাংলায় চিনেবাদাম, সংস্কৃতে বুকানক, হিন্দিতে মুগফলি, মহারাষ্ট্রে ভুঁই মুগ ইত্যাদি। ১০০ গ্রাম বাদামে ২৫ গ্রাম প্রোটিন, ৪৮ গ্রাম মতো ফ্যাট ও ২১ গ্রাম মতো কার্বোহাইড্রেট আছে। এছাড়াও এতে ভিটামিন বি ১, বি ২, বি ৩, বি ৫, বি ৬, বি ৯, ভিটামিন সি ও ভিটামিন ৯ বর্তমান। এছাড়াও বাদামে প্রচুর পরিমাণে ম্যাঙ্গানিজ, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম ও জিঙ্ক রয়েছে।
বাদামের উপকারিতা:
• এটি পুষ্টিকর এবং শরীরের শক্তি ও উদ্দীপনা বজায় রাখতে সহায়ক।
• সাধারণ পেটের রোগ ও ক্ষত নিরাময়ে উপযোগী।
• স্নায়বিক দৌর্বল্য, চিত্ত চাঞ্চল্য ও চক্ষু রোগে হিতকর।
• প্রসূতির স্তন্যদুগ্ধ বৃদ্ধিকারক।
• মূত্রাশয়ের রোগে লাভকারী।
• বাদাম পেস্ট দুধের সঙ্গে নিয়মিত সেবনে তা পুষ্টিতে সহায়ক হয় ও মানসিক শক্তিবর্ধক।
গুড় বাদাম: এটিতে বাদামের গুণের পাশাপাশি গুড়ের গুণ যুক্ত থাকে। একবার খেলে দেরিতে খিদে পায়। বাচ্চাদের ক্ষেত্রেও স্বাস্থ্যকর খাবার।