কর্মে ও ব্যবসায়ে উল্লেখযোগ্য সাফল্য। কৃষিপন্ন বিক্রেতা ও ডাক্তারদের অর্থকড়ি প্রাপ্তি হবে সর্বাধিক। বন্ধুকে টাকা ... বিশদ
আবার পুজোর দিনে সকালে শরতের সোনালি রোদ আর রাতে ঠান্ডা আমেজ, এসময়ে রাত জেগে ঠাকুর দেখার কারণে হাঁচি, শুকনো কাশি, জ্বরভাব, গা-হাত পায়ে ব্যথা ইত্যাদি হলে ব্রায়োনিয়া ৩০ নেওয়াই ভালো। অনেক সময় আবার শুকনো কাশি হয় এবং কাশির সময় শব্দ হলে স্পঞ্জিয়া ৩০ নিতে হবে।
ফোসকা: পুজোয় নতুন জুতো পরে পায়ে ফোসকা পড়েছে? চিন্তার কোনও কারণ নেই। সর্বদা হাতের কাছে রাখুন এলিয়াম সেপা ৩০, অতিরিক্ত হাঁটাহাটি করার ফলে যদি পায়ে ফোসকা পড়ে তাহলে কিন্তু চাই আর্নিকা ৩০ এবং সঙ্গে রাখুন ক্যালেনডুলা মাদার।
অত্যধিক পায়ে ব্যথা: অতিরিক্ত হাঁটার ফলে পায়ে ল্যাকটিক অ্যাসিডেরও ফরমেশন হয় ও সেখানেই জমতে থাকে। ফলে পায়ে ব্যথা হয়। হাত ও পায়ের অত্যধিক ব্যথার থেকে উপশম পেতে সারকোল্যাকটিক অ্যাসিড ২০০ ব্যবহার করুন।
শ্বাসকষ্ট এবং অস্বস্তি: শারীরিক অস্বস্তি অনুভব করলে, হাঁপিয়ে গেলে তৎক্ষণাৎ ভিড় এড়িয়ে ফাঁকা জায়গায় অর্থাৎ হাওয়া-বাতাসপূর্ণ জায়গায় আসবেন। এক্ষেত্রে আদর্শ ওষুধ হল পালসেটিলা ৩০। হার্টের রোগীর হঠাৎ করে বুকে ব্যথা শুরু হলে তাৎক্ষণিক উপশমের জন্য আর্নিকা ৩০ খেতে হবে। রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
পেটে ফাঁপা, অজীর্ণ, চোঁয়া ঢেঁকুর: খাবার খাওয়ার অনিয়ম হওয়া কোনও নতুন ব্যাপার নয়। অসময়ে খাওয়া দাওয়ার কারণে বদহজম, পেট ফাঁপা, চোঁয়া ঢেঁকুর প্রভৃতি সমস্যায় কার্বোভেজ ৩০ যথেষ্ট ফলদায়ী।
অতিরিক্ত মশলাযুক্ত, ভাজাভুজি খেলে যদি অম্বল, পেটভার ও পেটের যন্ত্রণা হয় সেক্ষেত্রে নাক্স ৩০ তাৎক্ষণিক ফল দেয়।
কয়েকদিন আইসক্রিম, পেস্ট্রি, অত্যধিক তেল, ঘি, মশলাযুক্ত খাবার খেয়ে বমিভাব, বায়ু জমা, গলা বুক জ্বালা, পেটে ব্যথা অর্থাৎ হজমের সমস্যা হলে পালসেটিলা ৩০ অব্যর্থ কাজ দেয়। কখনও কখনও বাইরের খোলা খাবার খেয়ে ফুড পয়জনিং হলে আর্সেনিক ৩০ ব্যবহার করতে পারেন।
আঙুল থেঁতলে গেলে: ভিড়ের চাপে পায়ের আঙুলে আঘাত লাগলে, থেঁতলে গেলে কিংবা হাতের আঙুলে আঘাত লাগলে হাইপেরিকাম ৩০ খুবই উপকার দেয়।
যদি কেটে বা ছড়ে যায় সেক্ষেত্রে ক্যালেন্ডুলা মাদার ব্যবহার করা যেতে পারে।
মচকে গেলে: ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ যদি কোনও কারণে হাত-পা মচকে যায় তাহলে রাসটক্স ৩০ নিলে তাৎক্ষণিক আরাম পাবেন।
* পরামর্শে পিসিএমএইচ হসপিটাল অ্যান্ড কলেজ-এর অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসর ডাঃ আশিষকুমার শাসমল।
সম্পাদনা: সুপ্রিয় নায়েক