পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
রাজ্যে বর্ষা চলে এল। ঝরঝর বাদল ধারায় ভিজবে ধরণী। গ্রীষ্মের দাপটে ফেটে চৌচির হয়ে যাওয়া মাটি জলের মরম পাবে। ডানা মেলবে সবুজ পাতা। অবশ্য এহেন আনন্দময় আবহাওয়াতেও আশপাশের পরিবেশের দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। কারণ বর্ষার সঙ্গেই রাজ্যে ডেঙ্গুর চোখ রাঙানি শুরু হয়ে। করোনা সঙ্কটের মধ্যে এই ভয়াল রোগ থেকে বাঁচতে অবশ্যই সব স্তরের সচেতনতা দরকার। প্রয়োজন এখন থেকেই ব্যবস্থা নেওয়ার। নইলে যে কোনও সময় অবস্থা হাতের বাইরে চলে যেতে পারে।
ডেঙ্গু মশা
এডিস ইজিপ্টাই মশার শরীরে এই জীবাণু বাসা বাঁধে। ডেঙ্গু (Dengue) ভাইরাস বহনকারী সাদাকালো ডোরাকাটা এই মশা কোনও সুস্থ ব্যক্তিকে কামড়ালে মানুষটি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন। সাধারণত জমে থাকা পরিষ্কার জলে এই মশা বংশবিস্তার করে।
ডেঙ্গুর লক্ষণ
জ্বর গাঁটে গাঁটে, পেশিতে, মাথায়, চোখের পিছনে ব্যথা থাকতে পারে ত্বকে র্যাশ দেখা দিতে পারে।
ডেঙ্গু না কোভিড?
এই দুই রোগের প্রাথমিক উপসর্গ হল জ্বর। তাই ডেঙ্গু না কোভিড (Covid) থেকে জ্বর হচ্ছে বুঝতে সমস্যা হতে পারে। অবশ্য কয়েকটি লক্ষণের ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে রোগগুলি সম্বন্ধে ধারণা করা যেতে পারে— ডেঙ্গু হলে জ্বরের সঙ্গে অস্থিসন্ধি, পেশিতে ব্যথা থাকে। করোনায় এগুলি সাধারণত থাকে না কোভিডে আবার হাঁচি, কাশি, গলাব্যথা থাকে। ডেঙ্গুতে এমন উপসর্গ সাধারণত থাকে না।
তবে এই ধরনের উপসর্গের উপর ভিত্তি করে প্রাথমিক ধারণা করা যায় মাত্র। এক্ষেত্রে ডেঙ্গু হয়েছে কি না নিশ্চিত হতে ডেঙ্গু এনএসওয়ান অ্যান্টিজেন টেস্ট এবং করোনা রয়েছে নাকি তা জানতে করোনা পিসিআর করে নেওয়াই ভালো।
ডেঙ্গু ও কোভিড একসঙ্গে
ঠিকই শুনছেন, করোনা ও কোভিড একই ব্যক্তির একই সময়ে হতে পারে। আর এমনটা ঘটলে রোগ খারাপ দিকে পৌঁছে যাওয়ার আশঙ্কা বহুগুণে বাড়ে।
ডেঙ্গুর চিকিৎসা
এই রোগের কোনও নির্দিষ্ট ওষুধ নেই। জ্বর ও গায়ে ব্যথার জন্য প্যারাসিটেমল খেতে হয়। পাশাপাশি পরিমিত পরিমাণে জল পান করতে হয়। এছাড়া নির্দিষ্ট পরীক্ষার মাধ্যমে রোগীর প্লেটলেট কাউন্টের দিকে সজাগ দৃষ্টি দিতে হয়। আর ডেঙ্গু ও কোভিড একসঙ্গে (Dengue and covid together) হলে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা করাই ভালো।
এখনই ব্যবস্থা নিন
নিজের ও পরিবারের সুরক্ষা নিজেরই কাছে। বাড়ির চারপাশে বৃষ্টির জল জমতে দেওয়া চলবে না। টব, বাতিল টায়ার, ভাঁড়, বোতল ইত্যাদির ভিতর জল জমে মশা বংশবিস্তার করতে পারে। এগুলি ফেলে দিন।
বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখুন।
মশারি টাঙিয়ে ঘুমান।
একদম সকালে ও সন্ধের সময় বেশি সংখ্যক মশা ঘরে প্রবেশ করে। এই সময়টায় দরজা-জানলা বন্ধ রাখুন।
আলমারির পিছন, খাটের তলায় মশা বিশ্রাম নেয়। এই জায়গাগুলিকে পরিষ্কার রাখুন।
আর অবশ্যই, জ্বর আসলে অবহেলা করবেন না। চিকিৎসকের শরাণাপন্ন হন। তিনিই রোগ নির্ণয় করে তড়িঘড়ি চিকিৎসা শুরু করতে পারবেন।