কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
তীব্র আশঙ্কা ছিল। আরটিআইআইসিএস–এর সিনিয়র কনসালটেন্ট কার্ডিয়াক সার্জেন ডাঃ অতনু সাহার নেতৃত্বে চিকিৎসকদল ১৫ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ফ্রোজেন এলিফ্যান্ট ট্রাঙ্ক পদ্ধতিতে হার্টের মহাধমনীর জটিল ব্যবচ্ছেদ করেন। ডাঃ সাহা জানান, ওপেন সার্জারি ও ফ্রোজেন এলিফ্যান্ট ট্রাঙ্ক পদ্ধতিতে স্টেন্ট বসানো একটি অভিনব অস্ত্রোপচার। সিনিয়র কনসালটেন্ট কার্ডিয়াক সার্জেন ডাঃ মৃণালেন্দু দাস বলেন, পূর্ব ভারতে এই ধরনের জটিল অস্ত্রোপচার এই প্রথম হল।
অন্যদিকে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে ডিসান হাসপাতালেও করা হল এক জটিল অপারেশন। তিন বছর আগে, কলকাতার এক ব্যবসায়ী পুজোর ছুটিতে পরিবারের সঙ্গে দক্ষিণ ভারতে বেড়াতে গিয়ে বুকে তীব্র ব্যথা অনুভব করেন। সেখানকার নামী হাসপাতালে তাঁর হার্টের রক্তবাহী নালীতে ব্লক ধরা পড়ে। অ্যাঞ্জিওপ্ল্যাস্টি করাতে হয়। বাম করোনারি আর্টারিতে স্টেন্ট বসে। কলকাতায় ফিরে সাধারণ জীবনযাপনই করছিলেন। মাস দুই আগে কাজকর্ম করার সময় শ্বাসকষ্ট হচ্ছে বলে জানান। নিয়ে যাওয়া হয় ডিসান হাসপাতালে। হাসপাতালে ভর্তির পরে জানা যায়, তাঁর অ্যাকিউট ডিকম্পেন্সেটেড হার্ট ফেলিওরের সঙ্গে হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। টাইপ ২ ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন সবই ছিল ওই রোগীর। হার্টের পাম্পিং ক্ষমতাও ছিল খুব কম। অ্যাঞ্জিওগ্রাম করে দেখা যায় তাঁর ডবল ভেসল করোনারি ডিজিজ রয়েছে। পুরনো স্টেন্ট-এর জায়গায়ও ব্লক হয়েছে। তৎক্ষণাৎ নতুন স্টেন্ট বসানো হয়। প্রাণে বাঁচেন রোগী।