অতি সত্যকথনের জন্য শত্রু বৃদ্ধি। বিদেশে গবেষণা বা কাজকর্মের সুযোগ হতে পারে। সপরিবারে দূরভ্রমণের যোগ। ... বিশদ
আশপাশে অনেকেই দেখি ধূমপান ছাড়তে চান। সেটা শুনলে পরিচিতরা আবার ঠাট্টা করে বলেন, ‘তাহলে কত দিনের জন্য ছাড়বে?’ অনেকেই চাইলেও ছাড়তে পারেন না বলেই তাঁদের এরকম কথা শুনতে হয়। আমি কিন্তু নিজের ইচ্ছায় একদিনে ধূমপান ত্যাগ করি। তখন আমার সুগার ধরা পড়েছে। আর ক্লাবের ছোটদের থেকে শুনেছিলাম যে ধূমপান করলে শরীরে মাইক্রোভাসকুলার পরিবর্তন হয়, যা ধীরে ধীরে আমাদের শরীরের ক্ষতি করে। বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গগুলোর কার্যক্ষমতা কমতে শুরু করে। তারপর একদিন দেখলাম হার্টের ড্রপ বিটের সমস্যা হচ্ছিল। প্রথমে মনে হচ্ছিল ছাড়তে পারব না। আবার হয়তো ধূমপান শুরু করব। এখনও মনে আছে, শেষ প্যাকেটটায় ছ’টা সিগারেট ছিল। তাই সেই প্যাকেটটাও আমার কাছে অনেকদিন রেখে দিয়েছিলাম। কিন্তু ঠান্ডা মাথায় একদিন ভেবে দেখলাম ধূমপান বিষয়টাই মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা। চাইলেই ছাড়া যায়। ব্যস, তারপর একদিন হঠাৎ করেই ছেড়ে দিলাম। আর সিগারেট ছুঁয়ে দেখিনি। অস্বীকার করব না, সামনে কেউ ধূমপান করলে শুরুতে একটু অসুবিধা হতো। চেষ্টা করতাম দূরত্ব বজায় রাখতে। পরে আর কোনও সমস্যা হয়নি।
এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে সিগারেট ছাড়ার পর আমার হার্টের সমস্যা অনেকটাই ঠিক হয়ে গিয়েছিল। আগে বেশিক্ষণ হাঁটলে দম ফুরিয়ে আসত। সেই সমস্যাটাও সময়ের সঙ্গে অনেকটা কমে গিয়েছিল। এখন অনেকেই আমার থেকে জানতে চান যে, কীভাবে ধূমপান ছাড়লাম। আমি তাঁদের একটা শব্দই বলি— ইচ্ছাশক্তি। আমার জীবনে আমি বুঝতে পেরেছি, ধূমপান একটা মনস্তাত্ত্বিক নির্ভরতা! চাইলেই যে কেউ সেই নির্ভরতা ছেড়ে বেরিয়ে আসতে পারেন। তাছাড়া আজকে সিগারেটের যেভাবে দাম বেড়েছে, একবার হিসেব করে দেখবেন সারা জীবনে সেই টাকা জমালে হয়তো আপনি কত অসম্পূর্ণ স্বপ্নপূরণ করতে পারবেন! যাঁরা ছাড়তে চাইছেন, তাঁদের একটা কথা বলি, সিগারেট আমাদের ক্ষতি কমবেশি করতে পারে। কিন্তু সেটা যে আমাদের কোনও উপকার করে না, তা নিয়ে তো কোনও সন্দেহ নেই। তাহলে জীবন থেকে ক্ষতিকারক জিনিসগুলো বাদ দিলে তো আমাদেরই মঙ্গল। তাই সিগারেট থেকে দূরে থাকুন। সুস্থ থাকুন।