সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায় সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রুর মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ
এই বয়সেও ঝড়-জল-বৃষ্টিতেও প্রতিদিন উত্তর কলকাতার বড়তলার গোপী সেন লেনের বাড়ি থেকে পায়ে হেঁটে রাজবল্লভ পাড়ার কাছে গিরিশ অ্যাভিনিউতে স্টেশনারি দোকানে আসি। সকালে আসি আর একবারে রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরে যাই। এই দীর্ঘ সময় দোকানে থাকা অবস্থায় বেশ কয়েকটি মাস্ক বদল করি। চিকিৎসক না হয়েও বলছি, দীর্ঘ সময় একই মাস্ক ব্যবহার করা উচিত নয়। নিজেকে সুস্থ রাখতে দুই থেকে চার ঘণ্টা অন্তর সকলের মাস্ক পরিবর্তন করা উচিত।
রোজ সকাল ঠিক ১০টায় খেতে বসি। বাড়িতে যাই রান্না হোক না কেন, তাই দিয়ে ওই সময়ের মধ্যে খেয়ে দোকানের দিকে পা বাড়াই। দোকান বন্ধ করে আবার রাত ন’টার মধ্যেই বাড়ি ফিরে আসি। রাত ঠিক সাড়ে ন’টার মধ্যে খাবার শেষ করে ফেলি। ঘড়ির কাঁটায় কাঁটায় রাত ১০টায় শুতে যাই। ঘুম থেকে উঠি ভোর পাঁচটা থেকে সোয়া পাঁচটার মধ্যে। এরপর ঘরের মধ্যে কিছুটা ডন বৈঠক দেওয়া। তারপর বাজার যাওয়া সহ ফের দৈনন্দিন রুটিনে ফিরে যাওয়া। একদিনের জন্যও রুটিনের একচুল পরিবর্তন হয়নি ভরা করোনা আবহেও। সব জায়গাতে মাস্ক ব্যবহার করতে কিছুতেই ভুলিনি। আর সেই কারণেই হয়তো করোনার মতো ভাইরাস এই বয়সে এখনও পর্যন্ত গ্ৰাস করতে পারেনি আমাকে। তাই সরকার মাস্ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে যে প্রচার অভিযান চালাচ্ছে তা সকলের মেনে চলা উচিত। পুজোর সময় তো আরও বেশি করে। আমার একটাই কথা— মাস্ক পড়ুন। নিজে ভালো থাকুন। অপরকে ভালো রাখুন।