অতি সত্যকথনের জন্য শত্রু বৃদ্ধি। বিদেশে গবেষণা বা কাজকর্মের সুযোগ হতে পারে। সপরিবারে দূরভ্রমণের যোগ। ... বিশদ
তার জন্য হার্ট টিম গঠন করা হয়। টিমে ছিলেন পেডিয়াট্রিক কার্ডিওলজিস্ট, একাধিক কার্ডিয়াক সার্জেন, কার্ডিয়াক ইনটেনসিভিস্ট। তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন আহসানার নাম হার্ট প্রতিস্থাপনের গ্রহীতা হিসেবে নথিভুক্ত করা উচিত। কারণ শুধু ওষুধ দিয়ে আর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না।
অবশেষে ১৬ আগস্ট, রিজিওনাল অরগ্যান অ্যান্ড টিস্যু ট্রান্সপ্ল্যান্ট অর্গ্যানাইজেশন (আরওটিটিও)-এর তরফে জানা যায়, প্রতিস্থাপনের জন্য হার্ট পাওয়া গিয়েছে। এই অতিমারীর মধ্যেই আহসানার ট্রান্সপ্লান্টের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ১৭ আগস্ট নারায়ণা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালের অন্যান্য চিকিৎসক, নার্স, অ্যানাথেটিস্টের মনীশ শর্মা, ডাঃ রঙ্গন কোলে-এর সাহায্যে মেয়েটির সফল হার্ট ট্রান্সপ্লান্ট করেন কার্ডিয়াক সার্জেন ডাঃ দেবাশিস দাস ও নীলাঞ্জন দত্ত। এমনকী চিকিৎসার খরচেও অনেকাংশে ছাড় দেওয়া হয়। অপারেশন পরবর্তী সমস্ত জটিলতা সামলান ডাঃ শুভদীপ দাস। কারণ এই সময়ে গ্রহীতার দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা চায় প্রতিস্থাপিত হার্টকে নষ্ট করতে। তবে চিকিৎসকরা জানান পরবর্তী বেশ কয়েকমাস আহসানাকে নিয়ম মেনে চেকআপ করাতে হবে। সবচাইতে শুভ বিষয় হল, আহসানা এখন আশার আলো দেখতে পাচ্ছে। সে এখন তার পড়াশোনা শেষ করার ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ!