আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুযায়ী, আমাদের শরীরের সহনযোগ্য তাপমাত্রাতে জল গরম হলেই ঈষদুষ্ণ জলে পরিণত হয়। ঈষদুষ্ণ জলের কোনও নির্দিষ্ট তাপমাত্রা সম্বন্ধে আয়ুর্বেদে কিছু বলা নেই। আয়ুর্বেদ মতে দুই রকমভাবে জলকে ঈষদুষ্ণ করে তোলা যায়। প্রথমত, জল ততটাই গরম করুন, যতটা সহ্য করতে পারবেন।
পুলিস যদি ধরে! রাস্তায় কেউ যদি কটু কথা বলে! এই ভয়ে মাস্ক সকলেই সঙ্গে রাখছেন। হ্যাঁ, ‘সঙ্গে রাখছেন’ বলাই ভালো। কারণ রাস্তায় বেরলেই এখন দেখতে পাওয়া যায়, মাস্ক প্রায় সকলের কাছেই রয়েছে, তবে অনেকেরই তা ঝুলছে থুতনিতে। কখনও কানের পাশে। কখনও আবার নাকের নীচে।
কথা বলার সময়, হাঁচি, কাশির সময় মুখ-নাক থেকে বেশকিছু তরলবিন্দু বেরিয়ে আসে। এই তরলবিন্দুকে বলে ড্রপলেট। মুশকিল হল, একজন করোনা আক্রান্তের ড্রপলেটে থাকে ভাইরাস। আক্রান্ত মানুষটি কথা বললে, হাঁচলে বা কাশলে ড্রপলেট বের হয়।
পরামর্শে বাঁকুড়া জেলার রাষ্ট্রীয় বালক স্বাস্থ্য কার্যক্রমের আয়ুর্বেদ মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ সুমিত সুর। অনেকেরই ঢাকা জুতো বা মোজা পরলে পায়ে দুর্গন্ধ হয়। জুতো, মোজা খুললেই বেরিয়ে পরে গন্ধ। সেই দুর্গন্ধ মানুষটিকে অস্বস্তিতে ফেলে দেয়। অনেকে আবার এই কারণে হীনমন্যতায় ভুগতেও শুরু করেন। তবে এই নিয়ে খুব বেশি চিন্তার কিছু নেই।
পরামর্শে সল্টলেকের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হোমিওপ্যাথির প্রাক্তন ডিরেক্টর প্রফেসর ডাঃ গৌতম আশ। চোখের ইনফেকশনের সমস্যা যাঁর হয় সেই জানে। প্রচণ্ড ব্যথা তো থাকেই। পাশাপাশি চোখ লাল হয়ে যায়, চোখ দিয়ে জল পড়ে, কটকট করে, পিচুটি জমে, জ্বালা করে, চুলকায় ইত্যাদি। আর এত সব সমস্যা উপস্থিত হলে চোখে দেখতে যে অসুবিধে হবে, এ আর বলার প্রয়োজন নেই।
পুলিস যদি ধরে! যদি রাস্তায় কেউ কোনও কটু কথা বলে! এই ভয়ে মাস্ক সকলেই সঙ্গে রাখছেন। হ্যাঁ, ‘সঙ্গে রাখছেন’ বলাই ভালো। কারণ রাস্তায় বেরলেই এখন দেখতে পাওয়া যায়, মাস্ক প্রায় সকলের কাছেই রয়েছে, তবে অনেকেরই তা ঝুলছে থুতনিতে। কখনও কানের পাশে। কখনও আবার নাকের নীচে। অথচ মাস্ক ব্যবহারের প্রথম শর্ত হল, নাক এবং মুখ ঢেকে রাখতেই হবে। ব্যস্, এইটুকু শর্ত পালনই যথেষ্ট।
কথা বলার সময়, হাঁচি, কাশির সময় মুখ-নাক থেকে বেশকিছু তরলবিন্দু বেরিয়ে আসে। এই তরলবিন্দুকে বলে ড্রপলেট। মুশকিল হল, একজন করোনা আক্রান্তের ড্রপলেটে থাকে ভাইরাস। আক্রান্ত মানুষটি কথা বললে, হাঁচলে বা কাশলে ড্রপলেট বেরয়। সেই ড্রপলেট কোনও সুস্থ ব্যক্তির নাক, মুখ, চোখ হয়ে শরীরে প্রবেশ করলেই বিপদ! তখন সুস্থ মানুষটির দেহের অন্দরে প্রবেশ করে নোভেল করোনা ভাইরাস।
করোনায় আক্রান্ত প্রায় ৪০ শতাংশ রোগীই উপসর্গহীন। এঁদের শরীরে ভাইরাস বাসা বাঁধলেও রোগ লক্ষণ ফুটে ওঠে না। মুশকিল হল, এঁরা কিন্তু অন্যের মধ্যে রোগ ছড়িয়ে দিতে পারে। রোগ লক্ষণ থাকে না বলে এঁদের চিহ্নিত করাও কঠিন। আপনি বুঝতেও পারবেন না, সামনের মানুষটি উপসর্গহীন কি না! এই সমস্যা সমাধানে বাড়ির বাইরে পা দিলেই মাস্ক ব্যবহার করুন। আর পুজোর কয়েকটা দিন তো বাইরে বেরিয়ে মাস্ক হতেই হবে ‘মাস্ট’।
দেখতে দেখতে বয়স এখন ৭৬-এর কোটায়। সুগার-প্রেশার দু’ই আছে। মাঝে মধ্যে ডাক্তারের পরামর্শও নিতে হয়। আর সে কারণে করোনা আবহে আমাদের মতো বয়সিদের একটু বাড়তি সর্তকতা অবশ্যই নেওয়া দরকার।
পুজোয় ‘মাস্ক এবার মাস্ট’! সাধারণ মানুষের পাশাপাশি উত্তর কলকাতার অন্যতম পুরনো হাতিবাগান সর্বজনীন পুজোর উদ্যোক্তা হিসেবে এই বিষয়ে নিজস্ব কিছু অভিজ্ঞতার কথা বলতে চাই। গত ছয়-সাত মাস ধরে আমাদের কিছু অভিজ্ঞতা হয়েছে।
পুজোর কেনাকাটা এখনও চলছে। বাজারে জমছে ভিড়। আর এখানেই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। তা না হলে বিগত ছয়-সাতমাসের সব প্রচেষ্টা পুরোপুরি ব্যর্থ হবে। বাজারে যাচ্ছেন, কেনাকাটা করছেন, মাস্ক অবশ্যই মুখে রাখুন।
উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে মধ্যম ফল আশা করা যায়। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে নতুনত্ব আছে। কর্মরতদের ... বিশদ
আহসানা খাতুন। ১৭ বছরের মেয়েটির চাহিদা ছিল সামান্য। সে চেয়েছিল অন্যান্য মেয়েদের মতো দশম শ্রেণীর পরীক্ষায় বসতে। মুশকিল হল, বাচ্চা মেয়েটি অদ্ভুত এক হার্টের সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছিল। অসুখের নাম ছিল ডায়ালেটেড কার্ডিওমায়োপ্যাথি। সে কারণে তার হার্টের পেশি এতটাই দুর্বল হয়ে গিয়েছিল যে বারবার হাসপাতালে ভর্তি করাতে হতো। চলতি বছরের শুরুতে নারায়ণা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালের (এনএসএইচ, হাওড়া) পেডিয়াট্রিক কার্ডিওলজি টিমের চিকিৎসক ডাঃ অমিতাভ চট্টোপাধ্যায়, সঞ্জীবন ঘোষ এবং জয়িতা নন্দী বিপদ এড়াতে আহসানাকে হার্ট ফেলিওর-এর ওষুধ দেওয়া শুরু করেন। তারপরেও আহসানাকে অন্তত চারবার হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়।
তার জন্য হার্ট টিম গঠন করা হয়। টিমে ছিলেন পেডিয়াট্রিক কার্ডিওলজিস্ট, একাধিক কার্ডিয়াক সার্জেন, কার্ডিয়াক ইনটেনসিভিস্ট। তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন আহসানার নাম হার্ট প্রতিস্থাপনের গ্রহীতা হিসেবে নথিভুক্ত করা উচিত। কারণ শুধু ওষুধ দিয়ে আর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না।
অবশেষে ১৬ আগস্ট, রিজিওনাল অরগ্যান অ্যান্ড টিস্যু ট্রান্সপ্ল্যান্ট অর্গ্যানাইজেশন (আরওটিটিও)-এর তরফে জানা যায়, প্রতিস্থাপনের জন্য হার্ট পাওয়া গিয়েছে। এই অতিমারীর মধ্যেই আহসানার ট্রান্সপ্লান্টের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ১৭ আগস্ট নারায়ণা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালের অন্যান্য চিকিৎসক, নার্স, অ্যানাথেটিস্টের মনীশ শর্মা, ডাঃ রঙ্গন কোলে-এর সাহায্যে মেয়েটির সফল হার্ট ট্রান্সপ্লান্ট করেন কার্ডিয়াক সার্জেন ডাঃ দেবাশিস দাস ও নীলাঞ্জন দত্ত। এমনকী চিকিৎসার খরচেও অনেকাংশে ছাড় দেওয়া হয়। অপারেশন পরবর্তী সমস্ত জটিলতা সামলান ডাঃ শুভদীপ দাস। কারণ এই সময়ে গ্রহীতার দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা চায় প্রতিস্থাপিত হার্টকে নষ্ট করতে। তবে চিকিৎসকরা জানান পরবর্তী বেশ কয়েকমাস আহসানাকে নিয়ম মেনে চেকআপ করাতে হবে। সবচাইতে শুভ বিষয় হল, আহসানা এখন আশার আলো দেখতে পাচ্ছে। সে এখন তার পড়াশোনা শেষ করার ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ!
তার জন্য হার্ট টিম গঠন করা হয়। টিমে ছিলেন পেডিয়াট্রিক কার্ডিওলজিস্ট, একাধিক কার্ডিয়াক সার্জেন, কার্ডিয়াক ইনটেনসিভিস্ট। তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন আহসানার নাম হার্ট প্রতিস্থাপনের গ্রহীতা হিসেবে নথিভুক্ত করা উচিত। কারণ শুধু ওষুধ দিয়ে আর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না।
অবশেষে ১৬ আগস্ট, রিজিওনাল অরগ্যান অ্যান্ড টিস্যু ট্রান্সপ্ল্যান্ট অর্গ্যানাইজেশন (আরওটিটিও)-এর তরফে জানা যায়, প্রতিস্থাপনের জন্য হার্ট পাওয়া গিয়েছে। এই অতিমারীর মধ্যেই আহসানার ট্রান্সপ্লান্টের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ১৭ আগস্ট নারায়ণা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালের অন্যান্য চিকিৎসক, নার্স, অ্যানাথেটিস্টের মনীশ শর্মা, ডাঃ রঙ্গন কোলে-এর সাহায্যে মেয়েটির সফল হার্ট ট্রান্সপ্লান্ট করেন কার্ডিয়াক সার্জেন ডাঃ দেবাশিস দাস ও নীলাঞ্জন দত্ত। এমনকী চিকিৎসার খরচেও অনেকাংশে ছাড় দেওয়া হয়। অপারেশন পরবর্তী সমস্ত জটিলতা সামলান ডাঃ শুভদীপ দাস। কারণ এই সময়ে গ্রহীতার দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা চায় প্রতিস্থাপিত হার্টকে নষ্ট করতে। তবে চিকিৎসকরা জানান পরবর্তী বেশ কয়েকমাস আহসানাকে নিয়ম মেনে চেকআপ করাতে হবে। সবচাইতে শুভ বিষয় হল, আহসানা এখন আশার আলো দেখতে পাচ্ছে। সে এখন তার পড়াশোনা শেষ করার ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ!
