সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায় সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রুর মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ
কেন মাস্ক?
কথা বলার সময়, হাঁচি, কাশির সময় মুখ-নাক থেকে বেশকিছু তরলবিন্দু বেরিয়ে আসে। এই তরলবিন্দুকে বলে ড্রপলেট। মুশকিল হল, একজন করোনা আক্রান্তের ড্রপলেটে থাকে ভাইরাস। আক্রান্ত মানুষটি কথা বললে, হাঁচলে বা কাশলে ড্রপলেট বের হয়। সেই ড্রপলেট কোনও সুস্থ ব্যক্তির নাক, মুখ, চোখ হয়ে শরীরে প্রবেশ করলেই বিপদ! তখন সুস্থ মানুষটির দেহের অন্দরে প্রবেশ করে নোভেল করোনা ভাইরাস। মানুষটি কোভিড ১৯ রোগে আক্রান্ত হন।
তাহলে বাঁচার উপায়? মাস্কই হল করোনা থেকে বাঁচার অন্যতম পথ। আক্রান্ত ব্যক্তি ঠিকভাবে মাস্ক পরলে, তাঁর নাক, মুখ থেকে ড্রপলেট বেরলেও মাস্ক আটকে দেয়। আক্রান্তের কাছাকাছি চলে আসা সুস্থ মানুষের পক্ষে তখন রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে মাস্ক।
অপরদিকে একজন সুস্থ মানুষ মাস্ক পরলে একইভাবে করোনা আক্রান্তের মুখ-নাক নিঃসৃত ড্রপলেট হুট করে তাঁর শরীরে ঢুকতে পারে না। সংক্রমণের আশঙ্কাও কয়েকগুণ কমে।
মাস্ক পরা চাই
এই সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে কোনওভাবেই করোনাকে হেলাফেলা করা চলবে না। নইলে তার ফল হবে মারাত্মক। স্বাস্থ্যব্যবস্থার উপর নেমে আসবে অসম্ভব চাপ। পাল্লা দিয়ে বাড়তে পারে গুরুতর অসুস্থ রোগীর সংখ্যা।
স্বাস্থ্যকর্মীরা সেই শুরুর দিন থেকেই টানা লড়াই করতে করতে ক্লান্ত। রোগীর সংখ্যা হঠাৎ ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠলে আহত সৈনিক দিয়ে যুদ্ধ জেতা কঠিন হয়ে পড়বে। তাই এই সঙ্কট থেকে বাঁচতে গেলে রাজ্যের প্রতিটি নাগরিককে সচেতনভাবে এখন বাইরে বেরিয়ে মাস্ক পরতেই হবে।
এগুলি জানুন, এগুলি মানুন
১. নিজের পাড়ায় রয়েছি বলে করোনা হবে না, এমনটা কিন্তু নয়। তাই পাড়ায় আড্ডায় বসলেও মাস্ক পরতেই হবে। পাশাপাশি আড্ডার আবহেও অবশ্যই মানতে হবে
শারীরিক দূরত্ব।
২. নিজে মাস্ক পরলে সুরক্ষা মেলে। সামনের ব্যক্তিটি মাস্ক পরে থাকলে সুরক্ষাবলয় আরও দৃঢ় হয়। তাই নিজে পরুন। অন্যকেও মাস্ক পরতে বলুন।
৩. অতিরিক্ত সতর্কতার জন্য এন ৯৫ মাস্ক না পরলেও চলবে। সাধারণ মানুষের জন্য থ্রি লেয়ার সার্জিক্যাল মাস্কই যথেষ্ট। শুধু ছয় ঘণ্টা পরপর এই মাস্ক বদলে ফেলতে হয়।
৪. শারীরিক দূরত্বও বজায় রাখুন। ন্যূনতম ছয় ফিট দূরত্ব বজায় রাখতেই হবে।
৫. নিয়মিত হাত সাবান জল দিয়ে অন্তত কুড়ি সেকেন্ড ধরে ধুয়ে জীবাণুমুক্ত করুন। চাইলে হাতে স্যানিটাইজার মেখেও জীবাণুমুক্ত করা যেতে পারে।