সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায় সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রুর মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ
পুলিস যদি ধরে! রাস্তায় কেউ যদি কটু কথা বলে! এই ভয়ে মাস্ক সকলেই সঙ্গে রাখছেন। হ্যাঁ, ‘সঙ্গে রাখছেন’ বলাই ভালো। কারণ রাস্তায় বেরলেই এখন দেখতে পাওয়া যায়, মাস্ক প্রায় সকলের কাছেই রয়েছে, তবে অনেকেরই তা ঝুলছে থুতনিতে। কখনও কানের পাশে। কখনও আবার নাকের নীচে। অথচ মাস্ক ব্যবহারের প্রথম শর্ত হল, নাক এবং মুখ ঢেকে রাখতেই হবে। ব্যস্, এইটুকু শর্ত পালনই যথেষ্ট। নাক-মুখ ঢাকা না থাকলে মাস্ক পরে আত্মপ্রসাদ লাভ হতে পারে। কিন্তু তাতে উপকার চার আনাও মিলবে না। বরং এমন কাজে নিজের সঙ্গে তঞ্চকতা করা হয়।
এই মুহূর্তে সকলেরই বোঝা দরকার, মাস্ক হল এমন একটি ওষুধ, এমন একটি ভ্যাকসিন যা সঠিকভাবে ব্যবহার করলে রুখে দেওয়া যায় মহামারী।
নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক পরে থাকলে ভাইরাস থেকে যেমন নিজে সুরক্ষিত থাকা যায়, তেমনই অন্যকেও সংক্রামিত করার অপরাধ থেকে বাঁচা যায়।
অতএব বাড়ির বাইরে যতক্ষণ থাকছেন, ততক্ষণ মাস্ক থাকবে নাক ও মুখের উপর।
ঘন ঘন মাস্কের উপর হাত দিয়ে মাস্কের অবস্থান ঠিক করা চলবে না। মাস্ক সরে গিয়েছে মনে হলে যে কোনও এক কানের ফিতে টেনে ধরে মাস্কের অবস্থান সঠিক করুন।
সুরক্ষায় কেমন ধরনের মাস্ক?
আজকাল অনলাইনে অর্ডার দিলেই মিলছে রকমারি মাস্ক। ব্যান্ডোনা, কোন মাস্ক, টি শার্ট মাস্ক, নেক গেইটার ইত্যাদি। কিছু কিছু মাস্কে আবার ভালভ লাগানো থাকছে। সাধারণ মানুষের জন্য পরামর্শ— ফ্যাশনদুরস্ত হতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনলে চলবে না। বিজ্ঞানসম্মত মাস্ক পরুন।
মনে রাখবেন, স্বাস্থ্যকর্মী ছাড়া অন্যদের এন ৯৫ মাস্ক পরার দরকার নেই। বাকি সবাই ত্রিস্তরীয় সার্জিক্যাল মাস্ক পরুন। এছাড়া বাজারে পুনঃব্যবহারযোগ্য মাস্ক বিক্রি হচ্ছে।
সেই মাস্কও পরতে পারেন। সেক্ষেত্রে কীভাবে তা জীবাণুমুক্ত করতে হবে, সেই সম্পর্কে জেনে নেওয়া দরকার।
পুনঃব্যবহারযোগ্য মাস্ক
অনেকেই পুনঃব্যবহারযোগ্য মাস্ক বা বাড়িতে তৈরি কাপড়ের ত্রিস্তরীয় মাস্ক ব্যবহার করছেন। এক্ষেত্রে মাস্ক সঠিক উপায়ে জীবাণুমুক্ত করার উপায় জানতে হবে। প্রথমত এই ধরনের মাস্ক জলে আধঘণ্টা ফুটিয়ে নিয়ে তারপর রোদে শুকিয়ে নিয়ে ব্যবহার করতে হবে।
ভিড়ে মাস্ক কতটা কার্যকরী
গণপরিবহণে মানুষকে সচেতন হয়ে ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে। গণপরিবহণে যে কোনও অপ্রয়োজনের যাতায়াত বন্ধ করুন। আর একান্তই ভিড় এড়াতে না পারলে সেক্ষেত্রে সঠিক ব্যবহারবিধি মেনে মাস্ক ব্যবহারই হল করোনার বিরুদ্ধে একমাত্র এবং প্রাথমিক জোরালো প্রতিরোধ।