পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়লেও মন চঞ্চল থাকবে। কোনও হিতৈষী দ্বারা উপকৃত হবার সম্ভাবনা। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
বাড়ির নানা কাজের ফাঁকে অসাবধানে প্রায়ই ছোটখাটো কাটাছেড়ার সম্মুখীন হই আমরা। করোনা পরিস্থিতি এবং লকডাউনের জেরে কাজ সবারই খানিক বেড়েছে। বেড়েছে চোট-আঘাতের আশঙ্কাও। প্রয়োজন ছাড়া কেউ এখন বাড়ির বাইরে বেরচ্ছেন না। শিশুরা থাকলে ভয় আরও বেশি। যে কোনও কাটাছেড়াতেই জীবাণুনাশক নানা ওষুধ ও প্রাথমিক চিকিৎসা প্রয়োজন। সঙ্গে এটাও জেনে রাখা উচিত, হঠাৎ কেটে গেলে সামলাবেন কীভাবে, কী করেই বা রক্তক্ষরণ বন্ধ করে সংক্রমণ আটকাবেন।
‘থ্রি স্টেপ’ সমাধান: কেটে গেলে প্রথমেই জায়গাটা ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। তারপর অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল হ্যান্ডওয়াশ বা স্যানিটাইজার দিয়ে ক্ষতস্থান ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে হবে। বাড়িতে সব সময় পোভিডন-আয়োডিন জাতীয় অ্যান্টিসেপটিক সলিউশন, গজ ও কাপড় রাখুন। ক্ষতস্থান শুকতে এটি অত্যন্ত কার্যকরী। অনেকে কেটে, ছড়ে বা পুড়ে গেলে নানা অ্যান্টিসেপটিক সলিউশন (ডেটল, স্যাভলন ইত্যাদি) লাগান। যদিও আমি এটা না করারই পরামর্শ দেব। কারণ এতে অনেক সময় ক্ষতস্থান এবং তার চারপাশে প্রচন্ড জ্বলুনি হয়। ক্ষত যদি খুব গভীর হয়, তাহলে আমাদের ‘স্টেপ থ্রি’ অবলম্বন করতে হবে।
ধোওয়ার পরে দেখতে হবে, ক্ষত থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছে কি না। রক্ত বেরতে থাকলে জায়গাটি গজ কাপড় ও পেপার টেপ দিয়ে ভালো করে ব্যান্ডেজ করে নিতে হবে। হাল্কা কাটাছেড়া নিয়ে বাইরে বেরতে হলে, তা ব্যান্ডেজে ঢেকে রাখুন। কিন্তু বাড়িতে থাকাকালীন কিছুটা সময় মলম বা ওষুধ লাগিয়ে খোলা হাওয়ায় রাখুন ক্ষতস্থান। এতে ক্ষত শুকোবে তাড়াতাড়ি। লোহায় কাটলে টিটেনাস মাস্ট। তবে জন্মের পরই যদি কারও টিটেনাসের কোর্স নেওয়া থাকে, তাহলে দশ বছরের মধ্যে ক্ষতের জন্য টিটেনাস না নিলেও চলে।
পড়ে গিয়ে ছড়ে গেলে: কোনওভাবে পড়ে গিয়ে ছড়ে গেলে হাতের কাছে মজুত রাখুন অ্যান্টিসেপটিক মলম ও ওষুধ। যেমন, সিলভার সালফাডায়াজিন অয়েনমেন্ট এক্ষেত্রে খুব ভালো কাজ দেয়। এই সমস্ত কিছু করার পরেও দীর্ঘদিন ধরে ক্ষত না শুকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ক্ষতস্থান ফুলে যাওয়া, প্রচন্ড ব্যথা, সঙ্গে যদি জ্বরও এসে যায় বুঝতে হবে সংক্রমণ ঘটেছে। তখন ওরাল অ্যান্টিবায়োটিক ছাড়া উপায় নেই। কোন অ্যান্টিবায়োটিক আপনার জন্য উপযুক্ত, তা জানতে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন। করোনা আবহে হাসপাতালে বা ডাক্তারের কাছে যাওয়ার সুযোগ না হলে টেলিমেডিসিনের সাহায্য নিন। চিকিৎসকের কাছ থেকে ই-প্রেসক্রিপশন নিয়ে সেই মতো ওষুধ কিনুন।